বৃহস্পতিবার

২৪ এপ্রিল, ২০২৫
১১ বৈশাখ, ১৪৩২
২৬ শাওয়াল, ১৪৪৬

কাতার ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতিতে উচ্ছ্বসিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে সফররত চার নারী ক্রীড়াবিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১৩:৩৯

শেয়ার

কাতার ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতিতে উচ্ছ্বসিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে সফররত চার নারী ক্রীড়াবিদ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে কাতার ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি ভীষণরকম আশাবাদী ও উচ্ছ্বসিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে সফররত চার নারী ক্রীড়াবিদকে।

মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি।

বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ, জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে নারী ক্রীড়াবিদরা নিজেদের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশে নারী খেলোয়াড়দের স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জগুলো সিইও হিন্দ-এর কাছে তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ হিন্দ তাদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন। কাতারের আমিরের বোন ও কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখ হিন্দ-এর এই প্রতিশ্রুতিতে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ও আশাবাদী নারী ক্রীড়াবিদরা।

এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড় ও খেলার উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করছেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার জন্যও কৃতজ্ঞতা জানান নারী খেলোয়াড়রা। সিইও হিন্দ-এর সাথে বৈঠকের পর নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে এসব জানান নারী ক্রীড়াবিদরা।

এ সময় কাতার সফরের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন তারা। জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন, ‘কাতার সফরের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যখন প্রথম আমরা সরকার প্রধানের সাথে দেখা করতে যাই তখন প্রধান উপদেষ্টা স্যার কাতার সফরে আমাদের কি করণীয় সেটি খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কাতারের কাছে তুলে ধরা। আমরা সেটাই চেষ্টা করেছি।’

দেশে খেলোয়াড়দের ফ্যাসিলিটিজ কেমন এবং থাকা-খাওয়াসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ সবকিছু খেলোয়াড়রা সিইও হিন্দকে বলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসবের দিকে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করেছি। হিন্দ খুবই মনোযোগী ছিলেন। তিনি আমাদের কথা রাখার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। আমি আশাবাদী, আমরা এখান থেকে ভালো কিছু নিয়ে যেতে পারবো।’

banner close
banner close