সোমবার

২৮ এপ্রিল, ২০২৫
১৪ বৈশাখ, ১৪৩২
৩০ শাওয়াল, ১৪৪৬

বুয়েটের ডিজাইন করা রিকশা চলবে ঢাকায়, প্রশিক্ষণ ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ২০:০৫

শেয়ার

বুয়েটের ডিজাইন করা রিকশা চলবে ঢাকায়, প্রশিক্ষণ ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলতে দেওয়া হবে না এমন জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অটোরিকশার একটি ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে। এটি হলে অটোরিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে লাইসেন্স দেওয়া হবে। প্রধান সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেওয়া হবে না।

রোববার  দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১১ পলাশ নগরে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এরআগে ৩, ৪, ও ৫ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় ৭টি প্যাকেজে মিরপুর পলাশ নগর এলাকায় মোট ১১ কি.মি. রাস্তা, ৩৫ কি.মি. নর্দমা ও ১৩ কি.মি. ফুটপাত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি বলেন, আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশার গ্যারেজের তথ্য দিন আমরা সেগুলো বন্ধ করে দেব। আপনারা বাড়ি মালিক সমিতি থেকে উদ্যোগ নিন, আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা প্রবেশ করতে দিয়েন না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা চেষ্টা করছি।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করে। আজ বেলা ১১টার পরে মিরপুর পলাশ নগর আসার সময় দেখলাম রাস্তায় প্রচুর ময়লা। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এই তিন ঘণ্টায় রাস্তা ময়লায় ভরে গেছে। আমি সবাইকে আহ্বান করছি, আপনারা যত্রতত্র ময়লা ফেলবেন না। যার যার সোসাইটি তারা পরিষ্কার রাখুন, এতে ঢাকা শহরের পরিবেশ সুন্দর হবে। বিদেশের উন্নত শহরের সাথে আমাদের ঢাকার পার্থক্য হলো তাদের রাস্তা পরিষ্কার, কোনো ময়লা থাকে না। আর আমাদের ঢাকার রাস্তায় প্রচুর ময়লা পড়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার করছে। উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ টন ময়লা সংগ্রহ করছে। সবাই যার যার বাড়ির সামনে রাস্তা পরিষ্কার রাখুন। আপনাদের বাড়ির ময়লা ঝাড়ু দিয়ে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়েন না। ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা সংগ্রহ করবে।

ছাদ বাগানের আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, মিরপুর এলাকায় একসময় অনেক গাছ ছিল। এই এলাকায় এতো গরম ছিল না। তুলনামূলক অনেক ঠান্ডা ছিল মিরপুর। পর্যাপ্ত গাছ না থাকায় বর্তমানে মিরপুর এলাকার তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। সবাই ছাদে গাছ লাগান, বাড়ির সামনে বা বারান্দায় টবে গাছ লাগান। ছাদবাগানের মাধ্যমে গ্রিন বিল্ডিং হলে আমরা ডিএনসিসি থেকে করের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপন করব।

তীব্র গরমে পথচারীদের পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকা শহরে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ আছে যাদের পক্ষে কিনে পানি খাওয়া সম্ভব হয় না। তাই অনুরোধ করছি সবাই সক্ষমতা অনুযায়ী পথচারীদের জন্য পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন। মানুষের পাশাপাশি অনেক প্রাণী আছে যেমন পাখি, কুকুর, বিড়াল তারাও তীব্র গরমে অনেক কষ্ট করে। এসব প্রাণীর জন্য ছাদে, বারান্দায় বা বাড়ি সামনে পাত্রে পানি রাখলে খেতে পারবে। এভাবেই শহরে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।

নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, পলাশ নগর বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

banner close
banner close