সোমবার

২৮ এপ্রিল, ২০২৫
১৫ বৈশাখ, ১৪৩২
১ জিলক্বদ, ১৪৪৬

আ.লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ০৯:০০

শেয়ার

আ.লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ছাত্র-জনাতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২৭ এপ্রিল) মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি  আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

সেখানে ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে চলে যেতে বলছে না, বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বিগত সরকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে দেশে অর্থবহ সংস্কার এবং অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও বলেছেন তিনি।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তাছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে। তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

এক প্রশ্নের জাবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে মোদী বলেছিলেন তিনি এটি পারবেন না। কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সূত্র: আলজাজিরা

banner close
banner close