সোমবার

২৮ এপ্রিল, ২০২৫
১৫ বৈশাখ, ১৪৩২
৩০ শাওয়াল, ১৪৪৬

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১০:১২

শেয়ার

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ দেশের সকল প্রধান ঘাঁটি, বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিটে চলছে। মহড়ার উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীর বৈমানিকরা আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশল অনুসরণ করে যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, শত্রুবিমান শনাক্তকরণ, আকাশ থেকে শত্রুকবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ, রসদ সরবরাহ, সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তর, স্পেশাল অপারেশন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারসহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন পরিচালনা করছেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহড়ার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান রোববার এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টার, এয়ার ডিফেন্স অপারেশন সেন্টার, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার, বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক ও বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান পরিদর্শন করেন।

‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ বিমানবাহিনীর সকল প্রধান ঘাঁটি, সিলেট, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, বগুড়া, বরিশাল, রসুলপুর, সুধারামসহ বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিটসমূহ থেকে ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত চলবে।

মহড়ায় বিমানবাহিনীর সকল প্রকার যুদ্ধ ও পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ইউনিট রাডার ইউনিট, মিসাইল ইউনিট এবং আনম্যান্ড এরিয়াল সিস্টেম ইউনিট সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। এই মহড়ায় বিমানবাহিনীর বিভিন্ন রাডার স্কোয়াড্রন শত্রুপক্ষের আক্রমণ চিহ্নিত করে নিজ বাহিনীর যুদ্ধ বিমান ও মিসাইল ইউনিটের সহায়তায় আক্রমণ প্রতিহত করার কৌশল অনুশীলন করছে।

আকাশ যুদ্ধ ছাড়াও ভূমিতে ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সকল কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও কমান্ডো দল কর্তৃক Combat Search & Rescue (CSAR) অপারেশন, পরিবহন বিমান দ্বারা জরুরি রসদ স্থানান্তর, বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় বোমা নিষ্ক্রিয়করণ এবং স্ক্র্যাম্বল (Scramble) এর মাধ্যমে আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী শত্রু বিমানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে Air Defence Alert (ADA)-এ কর্তব্যরত যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি ও সময় সংবেদনশীল টার্গেটে আক্রমণও অনুশীলন করা হচ্ছে।

এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর শক্তিমত্তা যাচাই এবং বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন করা হবে। এর দুর্বল দিকসমূহ নির্ণয় করে ভবিষ্যতে বিমানবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ প্রদান করা হবে।

 

banner close
banner close