শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০১:৩৫

শেয়ার

টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

কেউ যাতে পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার তৃণমূল পর্যায়ে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনোদিন কেউ যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে বিএনপি সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে চায় যাতে কেউ যেন পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।’ 

এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ আর পরিবর্তিত হয়েছে ভাষা। এই পরিবর্তিত নতুন ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে। আর আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে, তা না পারলে ছিটকে পড়তে হবে।’

দৃশ্যমান আর অদৃশ্যমান প্রতিপক্ষ মোকাবিলায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের আক্রমণের ধরণ বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারিদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, এদের অবস্থান অন্ধকারে, এরা সর্বত্র।’

বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনার তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী-গুনীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়। তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়।’ 

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি সকল ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, গোষ্ঠী, সমতল, পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম  সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ।’