ছাত্র-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর গত পাঁচ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই সারাদেশে আত্মগোপনে আছে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির মধ্য দিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী।
তারপর থেকেই মূলত মাঠের রাজনীতি থেকে পালিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়েছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা আওয়ামী লীগ। সেই ধারাবাহিকতায় প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিবৃতি, দাবি কিংবা নিজেদের মতামত জানিয়ে আসছে দলটি।
আজ (শুক্রবার) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে দেয়া এক পোস্টে দলটি নতুন অভিযোগে জানিয়েছে, তাদের প্রায় ৫০ হাজার তৃণমূল কর্মী হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের কারণে চরম দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে।
এ ছাড়া পোস্টে দাবি করা হয়, জুলাই-আগস্ট ও চলতি সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর অব্যাহত রয়েছে।
এসময় বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে পোস্টে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করেছে, তৃণমূল পর্যায়ে তাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে লুটপাট হচ্ছে। যার সঙ্গে বিএনপি জামায়াত জড়িত। এ ছাড়া, তাদের অনেক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও পোস্টে অভিযোগ করা হয়।
পোস্টের শেষদিকে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বেশকিছু দিক নির্দেশনা ও আবেদনও করা হয়। দেশ ও বিদেশের সামর্থ্যবানদের দলের দুঃস্থ নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। প্রবাসী যারা ইতিমধ্যেই পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতি ধন্যবাদ প্রকাশ করে দলটি।
নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনো পাবলিক জায়গায় ব্যক্তিগত তথ্য দেয়া থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে পোস্টে।
আরও পড়ুন: