বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহে জনতার ঢল নামে। শনিবার বিকাল ৩টার সময় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে ভীড় জমাতে থাকেন।
দুপুর হতে না হতেই ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরের সমাবেশ পরিণত হয় মহাসমাবেশে। চুয়াডাঙ্গা বাস ষ্ট্যান্ড, হামদহ, আরাপপুর এই তিনটি স্থানে প্রবেশ করার অবস্থা ছিলো না। বিকাল চারটার মধ্যেই জনতার বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারে ঝিনাইদহ শহরের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল মঞ্চে উপস্থিত হলে তাদের স্বাগত জানান ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।
এ সময় সমাবেশে আগত দলীয় নেতাকর্মীদের করতালি আর মুর্হুমহু শ্লোগান তুলে উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ সমাবেশে জানান, ১৬ বছর পর বিএনপির এই সমাবেশ ঝিনাইদহ জেলাসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
তিনি বলেন, ‘খুন গুমের রাণী শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে বিএনপি ঝিনাইদহে বড় কোনো সমাবেশ করতে পারেনি। সমাবেশ করতে গেলেই পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে পন্ড করে দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের সমাবেশ থেকে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো হয়েছে। দুঃশাসনের প্রতিবাদ করে প্রায় ৩০ জন বিচার বহির্ভুত হত্যার শিকার হয়েছেন।’
মুক্ত পরিবেশে বিএনপির এই সমাবেশ বিএনপির জন্য একটি উজ্জীবনী বার্তা ও নতুন করে লড়াই সংগ্রাম করার প্রেরণা যোগাবে বলে মনে করেন জেলা বিএনপি সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ।
আরও পড়ুন: