বৃহস্পতিবার

২১ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২০ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোড ম্যাপ চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১৫:৩৯

শেয়ার

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোড ম্যাপ চায় বিএনপি
ফাইল ছবি

ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা চায় বিএনপি। এরমধ্যে ঘোষণা করা না হলে পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করা হচ্ছে না। বরং আরও ধোঁয়াশাচ্ছন্ন করে তোলা হচ্ছে বলে মনে করেন দলটির নেতারা।

সোমবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া বৈঠকে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একসঙ্গে চলতে পারে। এ বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কারণ বিএনপিও প্রয়োজনীয় সংস্কার চায়। এজন্য দলটি সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে সহমতও পোষণ করেছে। এক্ষেত্রে সরকারকে তারা  সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত। আর সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি যদি একসঙ্গে চলে তাহলে দেশবাসী মনে করবে- সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সরকার সে পথেই হাঁটছে। কিন্তু তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। 

বিএনপি নেতারা মনে করেন, তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও সরকার এখনো রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় নির্বাচন নিয়ে আসলে তাদের চিন্তা কী, অথবা নির্বাচন ছাড়া তারা কতোদিন ক্ষমতায় থাকতে চায় কিংবা ক্ষমতা ও নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করতে চায় কিনা-এটা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নেতারা বৈঠকে তাদের এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, সরকার সংস্কারের কথা বললেও নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। তারা সরকারকে অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান।

এ ছাড়া সামপ্রতিক সময়ে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দু-একজন উপদেষ্টা যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না বিএনপি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

জানা গেছে, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের নেতারা তার পদত্যাগ চান। কারণ আলী ইমাম মজুমদারকে বিতর্কিত কর্মকর্তা মনে করেন তারা। পাশাপাশি বৈঠকে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি জোরালোভাবে পালনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।