বৃহস্পতিবার

২১ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২০ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতিকে অতিথি ঘোষণা: তোপে খালেদ মুহিউদ্দীন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:২৭

আপডেট: ৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:২৯

শেয়ার

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতিকে অতিথি ঘোষণা: তোপে খালেদ মুহিউদ্দীন
খালেদ মুহিউদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামক একটি টকশোতে অতিথি করা হয়েছে। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। সামাজিক মাধ্যমে তোপের মুখে পড়েছেন টকশোর উপস্থাপক সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ তার নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।

এদিকে সারজিস আলমও তার ফেসবুকে লিখেছেন, খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহিদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।

এর আগে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ এর ফেসবুক পেইজ থেকে ঘোষণা করা হয়, ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। দেখুন, সঙ্গে থাকুন, করুন মন্তব্য।

ওই পোস্টের নিচে খান আশরাফ নামের একজন কমেন্ট করেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত একটা দলের প্রধানকে মিডিয়ায় আনা মানে তাকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেয়া। খালেদ মুহিউদ্দীন সেই কাজটাই করতে চলেছেন। এরকম হলে হিজবুত তাহরিরের সভাপতিকেও দাওয়াত দেন।

আল মামুন রাসেল লিখেছেন, আমাদের আইন অনুযায়ী, এটি আপনি করতে পারেন না। এটি করলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯ ধারায় আপনিও অপরাধী হবেন। আশা করি এহেন কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

এ প্রসঙ্গে এক্সে এক টুইটে সাংবাদিক মনোয়ার আলম নির্ঝর লিখেছেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানকে বলতে পারেন দায়মুক্তি অনুষ্ঠান। খুব বড় ভুল অনুমান না করলে খালেদ মুহিউদ্দীনকে এই দায়মুক্তি টক শো এর গেস্ট ঠিক করে দিছেন বা যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন অমি রহমান পিয়াল। এর আগে সালমান এফ রহমান, আজিজদেরকেও তিনি এক সময় দায়মুক্তি দিছে। এদিকে আবার ঠিকানা প্রতিষ্ঠা করছে যারা তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেন। এখনকার মালিক দেখে বিভ্রান্ত হইয়েন না, একদম শুরুর গল্প দেখেন।

‘যেহেতু ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উম্মক্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করিয়াছে।’

এ প্রজ্ঞাপনে সরকার জানিয়েছে, পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র সিইও এবং প্রধান সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছেন গত ১৫ আগস্ট। এর আগে তিনি জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।