রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
রোববার সকালে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের আরও নেতাকর্মী ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভে অংশ নেবেন।
অন্যদিকে, রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে। এ সময় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শহীদ নূর হোসেনকে স্মরণ করে এবং 'অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার' দাবি জানিয়ে রোববার বিকেলে গুলিস্তানে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। একই দিন ওই স্থানেই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানায়, আগামী রোববার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে এবং 'অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার' দাবিতে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।
শনিবার রাত ৮টার দিকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ রোববার দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত করবে সংগঠনটি।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে শনিবার রাত থেকে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্ররা। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সাঁজোয়া যান ও জলকামানসহ পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
তবে, এখন পর্যন্ত জিরো পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালনের অনুমতি না দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম শনিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মন্তব্য করেন, "আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলকে বাংলাদেশে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।"
তিনি আরও লেখেন, "আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী রূপ ধারণ করেছে। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা র্যালি, সমাবেশ বা মিছিল করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রতিরোধ করবে।"
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ যদি কর্মসূচি করার চেষ্টা করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"
আরও পড়ুন: