শনিবার

১৬ নভেম্বর, ২০২৪
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৫ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩১

আপডেট: ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:২৫

শেয়ার

সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
সাবেক দুই সংসদ সদস্য। ছবি: বাংলা এডিশন

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, তার ছেলে সুমগ্ন করিম ও তার ভাই একই আসনের সাবেক এমপি ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার অপর দুই আসামী হলেন, গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন নয়ন ও শাহজাদপুর উপজেলা ওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: টিপু।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতের বিচারিক  গোলাম রব্বানির আদালতে শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের শ্রীফল তলা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মো: শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তিনি শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ও শহীদ জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়ীত্ব প্রাপ্ত)। বাদীর আইনজীবি এ্যাডভোকেট হোসেন শহীদ সরোয়ারদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী আশরাফুল আলম জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিরাজগঞ্জ সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার বাদী মো: শাহাদৎ হোসেন জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন শ্রীফলতলা এলাকায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে তিনি অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে ১ কোটি ৮০ হাজার টাকার ৯০ লাখ সেফটি ড্রেজারের বালু কিনে বিক্রি করা অবস্থায় ২০২২ সালের ২৬ জুন আসামিরা বাঁধা প্রদান করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা আমাকে ধরে নিয়ে মারপিট করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে তারা সবকিছু নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়। ফলে আমার ২ কোটি  ২৩ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ফলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে জানতে আসামি সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম ও মো: টিপুর মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।'