শনিবার

১৬ নভেম্বর, ২০২৪
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৫ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

চিফ প্রসিকিউটর তাজুলকে নিয়ে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:৪৪

আপডেট: ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:৪৪

শেয়ার

চিফ প্রসিকিউটর তাজুলকে নিয়ে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে নিয়ে দেওয়া তার পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন।

শুক্রবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে একথা জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে ভিপি নুর লিখেছেন, গতকাল ১৪ই নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর জনাব এ্যাড.তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্যের তথ্যে বিভ্রাটে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। চিফ প্রসিকিউটরের সহিত আলোচনায় বিষয়টি পরিস্কার হওয়ায় গণহত্যার বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে৷

এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে এবং ক্ষমা না চাইলে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে নুরুল হক নুর এবং তার সহযোগীরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল গেটে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়ার পর, তিনি ট্রাইব্যুনালের গেটে সংবাদ সম্মেলন করে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ আনেন। একই সঙ্গে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুরের এসব মিথ্যা অভিযোগ ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও চিফ প্রসিকিউটরের মর্যাদা ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

এছাড়া, নুরুল হক নুরের এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে নুরুল হক নুর এবং তার সহযোগীদের এই বেআইনি কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। যদি তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন এবং ক্ষমা না চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।