বৃহস্পতিবার

২১ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৯ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

যারা সংস্কারের কথা বলেছেন, সংগ্রামে তাদের অনেককেই দেখা যায়নি: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:২৫

আপডেট: ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:২৬

শেয়ার

যারা সংস্কারের কথা বলেছেন, সংগ্রামে তাদের অনেককেই দেখা যায়নি: মঈন খান
মঈন খান | ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, "আজ যারা সংস্কারের কথা বলছেন, অনেককে আন্দোলন সংগ্রামে দেখি নাই। তিনি আরও বলেন, "আজ আমরা দেখছি, যারা টেলিভিশনে বড় বড় কথা বলছেন, তারা বিগত বছরগুলোতে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের অত্যাচার, এসবি, ডিবির নির্যাতন সহ্য করছিল, যখন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এক লক্ষ থেকে ষাট লাখ আসামি বানানো হয়েছিল, তখন কোথায় ছিলেন তারা? রাতের অন্ধকারে ধান ক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল অনেককে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের বিপ্লবের মূল সত্য, এটি অস্বীকার করা যাবে না।"

মঙ্গলবার সকালে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে 'রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' শীর্ষক কর্মশালার ঢাকা বিভাগ অংশের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগে আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।

মঈন খান বলেন, "জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের কৃতিত্ব একক কোনো ব্যক্তির নয়। এই গৌরব দেশের প্রতিটি মানুষের, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। ১৯৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ যে কারণে জীবন দিয়েছিল, সেটিই গণতন্ত্রের জন্য।"

বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনচেতা মনোভাব উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, "এই জনগণই পাকিস্তানকে তাড়িয়েছে, বাকশালকে তাড়িয়েছে। তাই ৩১ দফাকে বুঝতে হলে এই ইতিহাসকেই বুঝতে হবে।"

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "এই সরকারকে বুঝতে হবে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করতে হবে। ১২ কোটি ভোটারের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজ, যারা বিপ্লব এনেছে, তাদের কখনোই ভোট দেওয়ার সুযোগ হয়নি, এটি আমাদের চ্যালেঞ্জ।"

তিনি আরও বলেন, "সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে এবং সেই প্রতিনিধি একটি সরকার গঠন করবে। ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের উপর বিশ্বাস রেখে ভোট দিলে, আমরা তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করব।"

এ সময় তিনি বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই। মানব সভ্যতার ইতিহাসে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন করা হয়েছে, রক্ত দেওয়া হয়েছে।"

প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মশালার সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল এবং সঞ্চালনা করবেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেন।