বৃহস্পতিবার

২১ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৯ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দিন: ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:৪২

শেয়ার

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দিন: ডা. শফিকুর রহমান
ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দিন। এ অভ্যুত্থানে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ অংশ গ্রহণ করেছিল। এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রত্যেকেই যার যার সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের সবাইকে মোবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করেন।

তিনি ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার, পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে 'মিট দ্যা প্রেস' অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জামায়াতের আমীর বলেন, ‘মনিটারী রেমিটেন্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যেও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে। এভাবেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসীরা অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’

বিগত সরকারের লাগামহীন দূর্ণীতির কথা উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হতো, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরণের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়েই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের দেশে সময়মতো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সাথে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।’

একাত্তরে ভুমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একাত্তরে আমরা কোনো ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবো। বৃটেনের কোর্ট চৌধুরী মাইনুদ্দিনের বিষয়ে বিচারের রায়ে আমাদের দেশে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচার হয়েছে তার অবজারভেশনে এখানকার বিচারপতিরা সে রায়কে জেনোসাইড অব জাস্টিস বলেছে। ১৫টি বছর আমাদেরকে আমাদের অফিসে বসতে দেয়নি, আমাদেরকে কথা বলতে দেয়নি, আমাদেরকে কোনো র‍্যালি করতে দেয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে যেতে পারিনি।’

ডা. শফিক আরও বলেন, ‘জাতিগতভাবে অনৈক্য এবং দূর্ণীতির কারণে আমরা জাতি হিসেবে আগাতে পারিনি। দূর্ণীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদেরকে দূর্ণীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে সারা বিশ্বে নিজেদেরকে একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি। যারা সমাজ পরিচালনা করবেন তারা পরিচ্ছন্ন না হলে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে না।’

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যরিস্টার আবু বকর মোল্লা। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশেন করেন শিল্পী কামাল হোসাইন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার অর্ধশতকেরও বেশী সাংবাদিক এতে অংশ গ্রহণ করেন।