দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। এতে করে রীতিমতো উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
সম্মেলনস্থল টাউনহল ফুটবল মাঠ সেজেছে বর্ণিল সাজে। তোরণ, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহরের অলিগলি। সম্মেলনে ১৩ হাজার নেতা-কর্মীর সমাবেশ ঘটবে এমনটাই প্রত্যাশা জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের।
এবারই প্রথম খোলা ময়দানে বেশ ঘটা করে সম্মেলনের আয়োজন করছে দলটি। সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। আর ব্যালট পেপারের ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচন হবে।
এবারের সম্মেলনের বড় চমক হচ্ছে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতি। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আর সশরীরে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে নির্ধারিত ৮০৮ কাউন্সিলর নেতা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যদিও এবার জেলা বিএনপির সভপাতি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু একক প্রার্থী থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হতে চলেছেন। ফলে এ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
তবে সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে হবে ভোটের লড়াই। এ দুটি পদে প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে সাধারন সম্পাদক পদে লড়বেন জেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ ও মিলিমা বিশ্বাস মিলি। আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়বেন সফিকুল ইসলাম পিটু, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন ও মোমিনুর রহমান।
সম্মেলন প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘এবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলন উপলক্ষে যেসব প্রার্থী অংশ নিয়েছেন তারা সকলেই যোগ্য। আবার যারা কাউন্সিলর আছেন তারা সবাই বিচক্ষণ এবং মেধা সম্পন্ন। যার ভোট সে নিজেই দিবে, যাকে খুশি তাকেই দিবে। এখানে সবাই স্বাধীন। নিরপেক্ষভাবে ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় দলের নেতা কর্মীদের নানা নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। এখন স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার সময় এসেছে। নিজেদেরকে নতুন করে যাচাই করারও সময় হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এ সম্মেলন উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালে বঙ্গজ ফ্যাক্টরির মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০২১ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।
আরও পড়ুন: