কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও আশপাশের হোটেল, মুদি ও চায়ের দোকানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রায় ১৬ লাখ টাকা বাকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে অন্তত ১০ জন দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
দোকান মালিকদের দাবি, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে খাবার ও অন্যান্য পণ্য বাকিতে নিয়ে পরিশোধ না করেই চলে গেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত হলে এই টাকা আদায় নিয়ে তারা শঙ্কায় পড়েছেন।
দোকান মালিকদের তথ্যমতে, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার বাকির পরিমাণ ২ লাখ টাকা, মামা হোটেলে ১০ লাখ, নবী মামার হোটেলে ৪ লাখ, ভুঁইয়া জেনারেল স্টোরে ২০ হাজার এবং মির্জা ভেরাইটিজ স্টোরে ১০ হাজার টাকা।
বাকির তালিকায় ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ, বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন মাসুম ও আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার সাকিব এবং দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহসহ অনেকের নাম রয়েছে।
ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নান মজুমদার বলেন, "ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য খাবার সরবরাহ করেছিলাম। এখন ২ লাখ টাকার বেশি বাকি রয়েছে। টাকা ফেরত না পেলে আমি এই তালিকা ক্যাম্পাস গেটে ঝুলিয়ে দেব এবং প্রক্টরকে জানাব।"
মামা হোটেলের মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, "ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১০ লাখ টাকার বেশি বাকি রেখেছেন। তাদের কারণে বহুবার সমস্যায় পড়েছি।" নবী মামার হোটেলের কর্ণধার নূরুন নবী জানান, "৪ লাখ টাকা বাকি রয়েছে, যা এখনো পাইনি।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম বলেন, "আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পায় নি। যদি সঠিক তথ্যসহ কেউ অভিযোগ দেয়, আমরা তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করবো।"
আরও পড়ুন: