দেশের জনগণ জীবন দিয়ে সংগ্রাম করে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। কিন্তু সেই স্বৈরাচার বসে নেই। বিদেশে বসেই দেশি-বিদেশি প্রভুদের সাথে নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছিলো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষের অন্তরর যে মুক্তি, তা প্রতিষ্ঠার জন্য। সকল অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন নিয়ে যতো দেরি হবে, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র ততো বৃদ্ধি পাবে। শিগগিরই নির্বাচন দেয়াটা অন্তর্বতীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন দেরিতে হলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসুবিধা কমে যাবে। কৃষকসহ সকলে যেসব সমস্যায় রয়েছেন সেসব সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের সকল সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বিগত স্বৈরাচার সরকার। এগুলো আবার জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করতে হলে নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে দেশের সকলেই সংস্কারের কথা বলছেন। আসলেই সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো সত্যিকার অর্থেই বাস্তবায়ন সম্ভব যদি প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন। এর বাইরে, সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেজন্য দেশে অনতিবিলম্বে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: