
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে যারা বন্দী করে রাখতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে যারা অঙ্গরাজ্যে পরিণত ও পরিচালিত করতে চেয়েছিল। তাদের সেবাদাসী উৎখাত হওয়াতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের সকল জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে এদেশের তৌহিদী জনতা নিজেদের হাতে দায়িত্ব তুলে নেবে।’
বুধবার রাতে কুষ্টিয়া হাই স্কুল মাঠে উলামা পরিষদ আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মামুনুল হক আরও বলেন, ‘শহিদ আলিফদেরকে হত্যা করে তৌহিদের জাগরণ বন্ধ করা যাবে না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের সন্তানেরা তৌহিদের চেতনা নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। তাদের জোয়ার স্তব্ধ করে দিতে পারবে না। আলেম সমাজ বিপ্লবের জন্য তৈরি হন, জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এদেশ থেকে কোরআন ও ইসলাম বিরোধী প্রতিটি অপশক্তির শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশকে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে শিরকী আইন তৈরি করবার অভিশপ্ত ধারায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মসুলমানদেরকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আমরা বন্দীত্ব থেকে মুক্তি চাই৷ বাংলাদেশের সংবিধান যখন সংস্কার হবে, তখন একটা ধারা সংযুক্ত করতে হবে। এই বাংলাদেশ আগামী দিনের ইসলামের বাংলাদেশ হবে। বাংলাদেশের চিরন্তন গন্তব্য হবে ইসলাম।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, ‘২০০৮ সালে বাংলাদেশের কাঁধের উপর ফ্যাসিবাদ চেপে বসলো। ৭২ থেকে ৭৫-এর সেই কালো শাসন আবারো এদেশের মানুষের উপর আসলো। এবার আর তিন বছর নয়, এবার থাকলো ১৫ বছর। এই ১৫ বছরে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসকে সংবিধান থেকে উৎখাত করে দিয়ে কুফরি ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংবিধানে ফিরিয়ে আনলেন। আর ধীরেধীরে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ও ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার সবগুলো প্রচেষ্টাকে গলা চেপে হত্যা করার পায়তারা চালালেন।’
আরও পড়ুন: