বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো হলো- জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট মামলা, সম্পদ বিবরণীর মামলা, মানি লন্ডারিং মামলা ও নড়াইলে মানহানির একটি মামলা।
বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে এখনো চারটি মামলা বাকি আছে। এসব মামলাতেও তিনি আইনি মোকাবিলা করতে চান। কারণ তারেক রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রমাণ হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে এসব মামলায় সাজা দেয়া হয়েছিল।
এর আগে সবশেষ গতকাল ২১ আগস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেলেন। একই দিন সিলেটে রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলাতেও তিনি অব্যাহতি পান।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা হয়। এরমধ্যে ৬৩টি মামলাই মানহানির। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একে একে মামলার দায় থেকে মুক্ত হচ্ছেন তারেক।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও জুবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুদক। তাদের অভিযোগ, তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর ঘোষিত আয়ের বাইরেও ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থের অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
২০২৩ সালের ২র আগস্ট এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছরের এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। ২০১৪ সালে লন্ডনে এক সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার ও পাকবন্ধু উল্লেখ করে তারেক রহমান নানা অবমাননাকর কটূক্তি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ এনে নড়াইলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুবছরের কারাদণ্ড দেন নড়াইলের আদালত। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: