
জামায়াতে আমির। বাংলা এডিশন
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, নারী-পুরুষের ব্যবধানে এনে আমাদেরকে বলে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসকে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সাথে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কিভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, তারা যা পছন্দ করবেন, তাইই পড়বেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিনত হবে।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে শনিবার সকালে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মী সম্মেলনে দূরদূরান্ত থেকে মানুষের ঢল নামে। সম্মেলন প্রাঙ্গণ ও আশেপাশে লাখখানেক মানুষের সমাগম ঘটে। খুব সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে মানুষের জমায়েত হয়। সম্মেলন স্থান ছাপিয়ে সড়ক, মানুষের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, এই রাষ্টের সকল নাগরিকদের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজনিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সাথে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।
জামায়াতের আমীর বলেন, আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দিবো। যাতে এ দেশের যুব-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুব-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এদেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এরআগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু তারা চাকরি পায় না। আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি আরও বলেন, যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজরিটি মাইনোরিটি, তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে। যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না। যেই সমাজে দখল বানিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন: