রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

আমরা সবার ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব চাই: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ০৯:০০

শেয়ার

আমরা সবার ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব চাই: জামায়াত আমির
ছবি: সংগৃহীত

দেশের রাজনীতিবিদদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমা। তিনি বলেন, ‘আগের মতো পাগলামি, বোকামি করলে আগামীর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়, আমরা মালিক নয় জাতির খাদেম হবো। কে হিন্দু কে মুসলিম কে কোন দলের ও ধর্মের আমরা তা দেখবো না। আমরা দেখবো সে বাংলাদেশি কিনা।

কুয়েত সফরে শেষ দিনে শুক্রবার আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমীর বলেন, ‘আমরা সবার ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব চাই। যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নেবো। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানাবো।’

তিনি বলেন, ‘৫৩ বছর যারাই দেশ পরিচালনা করেছে, তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি। তারা যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসে ছিল।’

প্রবাসীদের অভিযোগ ও অভিমত শুনে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি যেই দেশেই যাচ্ছি সেই দেশে কষ্টের হাহাকার শুনতে পারছি। আমরা সময় মতো পাসপোর্ট পাই না। সময় মতো পেতে হলে বাড়তি খরচ করতে হয়। আবার কেউ মারা গেলে লাশটা সহজে দেশে নেয়া যায় না। অনেক কান্নাকাটি করতে হয়। এদিক ওদিক দৌড়াতে হয়। দেশে যাবে বিমান টিকিটের দাম দ্বিগুণ থেকে আড়াই গুণ করে ফেলা হয়, এটা জুলুম।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন ন্যায্য পাওনা পান না। সরকার ও অ্যাম্বাসি তাদের পাশে দাড়ায় না। তাহলে অ্যাম্বাসি এখানে কেনো? অ্যাম্বাসি হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধি, এটা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অ্যাম্বাসি যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ কষ্ট সমস্যা না দেখে তাহলে এখানে দরকার নাই। অ্যাম্বাসির দায়িত্ব হলো প্রবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে বাধাগ্রস্ত হলে এই দেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করা।’

এ সময় প্রত্যেক প্রবাসীকে স্থানীয় আইন কানুন মেনে চলতে অনুরোধ করেন জামায়াত আমির।

 

banner close
banner close