
রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ক্যাম্পাসে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে গড়ে ওঠা ছাত্রলীগের অবৈধ কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ গ্রহন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সরেজমিনে কবি নজরুল হলের সামনে দখলকৃত ছাত্রলীগের কার্যালয়টি ভেঙে ফেলতে দেখা যায়।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র থেকে জানা যায়,বিগত সময়ে গড়ে ওঠা ছাত্রলীগের এই কার্যালয় অবৈধভাবে দখলকৃত।এক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার বিভাগের অংশ ছিল এই ভবন যা বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ছাত্রলীগ দখল করেছিল।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরফান আলি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রক্ষিতে এই বিষয়ের নির্দিষ্ট কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ছাত্রলীগের এই কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।কবি কাজী নজরুল হলের সামনে এই ভবন থাকায় পরিবেশ অসুন্দর হওয়ার বিষয়কেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষিত হওয়ায় এই ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম এবং তৎপরতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবৈধ।আর অবৈধ কোনো সংগঠনের জন্য কোনো কার্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না বলেও অবহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
প্রশাসনের এ উদ্যোগকে যথার্থ মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শেকৃবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আশিক আহমেদ বলেন, ছাত্রসংগঠনের কাজ ছাত্রদের বিভিন্ন যৌক্তিক আন্দোলনে তাদের পাশে দাড়ানো এবং দাবি আদায়ে সাহায্য করা কিন্তু ছাত্রলীগ তা না করে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের মারধর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সময়ও তারা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো। এবং বর্তমানে তারা একটি নিষিদ্ধ সংগঠন, কোন নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যালয় শেকৃবিতে থাকতে পারেনা।যথাথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন যা আরও পূর্বেই নেওয়া উচিত ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান এবং গনহত্যার সহযোগী হওয়ায় দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ ফলে ক্যাম্পাসেও তারা এখন অবিবেচিত।গনঅভ্যুত্থানে তাদের কার্যক্রমকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের এই কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এটি অবৈধভাবে দখলকৃত।
আরও পড়ুন: