রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

তবে কি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দিলেন সারজিস!

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৭:৫৫

শেয়ার

তবে কি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দিলেন সারজিস!
সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের মানুষ যদি মনে করে আমি কিংবা তরুণ অন্য কেউ সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে তাহলে আমি মনে করি তার এই দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

আর এতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তবে কি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দিলেন তরুণ এই সমন্বয়ক।

শুক্রবার নিজ জেলা পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে প্রায় দুই হাজার মানুষের হাতে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, আমরা মানুষের চাওয়া নিয়েই কাজ করেছি। সব কর্মসূচি ছিল মানুষের পালস বুঝেই। মানুষ এখন চান আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া তরুণরা তাদের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করুক। পঞ্চগড়ের মানুষ যদি মনে করেন আমি কিংবা তরুণ অন্য কেউ সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে, তাহলে আমি মনে করি তার এই দায়িত্ব নেয়া উচিত।

এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নিয়ে যে আলোচনা করেছেন, তা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান সারজিস।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থানটি সফল হয়েছে এবং আমরা যারা এই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম, আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখি তার সামগ্রিক একটি রূপরেখা এই জায়গায় দেখতে পাবো। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘোষণাপত্র সামনে আসবে।

এত রক্ত, এত জীবনের বিনিময়ে জনগণের চাওয়া কেবল একটি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হয়ে জনগণের যারা প্রতিনিধি হবে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে, তাদের কাছে ক্ষমতা যাবে এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে নতুন একটি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করা, বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের মূল দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা প্রায় অবাস্তব ও অসম্ভব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, বিগত ১৬ বছরে রংপুর বিভাগসহ পঞ্চগড় অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কয়েকটি রাস্তা ছাড়া কিছুই হয়নি। একটা শিল্প কারখানা হয়নি। আমাদের বেশি কিছু দরকার নেই। যেটুকু পঞ্চগড়ের মানুষের পাওনা বা হক সেটা কীভাবে আদায় করা যায় আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করবো। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে সেটি আমানত মনে করি। এই আমানত রেখে মানুষের কল্যাণে যা কিছু করা যায় আমরা করবো।

banner close
banner close