রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ ২১:১৩

আপডেট: ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ ২১:১৭

শেয়ার

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

হস্তক্ষেপের জন্য নয়, নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।  

সোমবার জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশনের সঙ্গে দেখা করে এ অভিমত জানিয়েছে। জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছে যে ইলেকশনে ইউএনডিপি কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে এবং স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

আমরা তাদের জানিয়েছি, যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমরা স্বাগত জানাই সহযোগিতার জন্য। তবে হস্তক্ষেপ করার জন্য নয়।’

তিনি বলেন, “হস্তক্ষেপ ছাড়া যদি আমাদের টেকনিক্যাল এবং অর্থের ব্যাপারে সহযোগিতা করে সেটার জন্য আমরা বলেছি ‘ইউ আর ওয়েলকাম’।”

ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি, প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ করার জন্য।

কারণ সিসি ক্যামেরা থাকলে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে। এখানে অর্থের কথা এসেছে, আমরা এ ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য এটা বড় ধরনের সহযোগিতা হবে।’

তিনি বলেন, ‘তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমরা বলেছি, আমরা নীতিগতভাবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।

এটা আমাদের মূলনীতির ভেতরেই আছে। প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছে নির্বাচনের তারিখ কখন হতে পারে? আমরা বলেছি যত দ্রুত সম্ভব। তবে এখানে কিছু জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। উইদাউট রিফর্মসে যদি ইলেকশন হয়, তবে ইলেকশন আগের মতোই হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় দল।

তাদের একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে এবং তারাও তাদের বক্তব্য রেখেছে। আমরা বলেছি, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসম্ভব নির্বাচন দেওয়া। এটাই আমাদের স্ট্যান্ড।’

আওয়ামী লীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এবং জনগণের যে মতামত এবং ম্যান্ডেট থাকবে, সেটাই আমাদের স্ট্যান্ড। সেখানে আমাদের বিশেষ কোনো নিজস্ব কিছু নেই।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো দলের পক্ষে বিপক্ষে আইনগত বিষয়ে মতামত দেবে না। এটা জনগণ উইল ডিসাইড, সোসাইটি উইল ডিসাইড, সিসুয়েশন উইল ডিসাইড, এনভায়ারনমেন্ট উইল ডিসাইড।’

আগে স্থানীয় সরকার না জাতীয় সরকার নির্বাচন সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবজার্ভ করছি। আমরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো মতামত ঠিক করিনি। আমরা আলোচনা করব এবং তারপর আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানাব।’

কেয়ারটেকার সরকারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা তো একেবারেই আমাদের মৌলিক দাবি। এর আগে যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল তা জামায়াতে ইসলামীই আগে করেছিল। পরে অন্যান্য দল এটাকে সাপোর্ট দিয়েছে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করেছি। এটা সংবিধান সংযোজিত হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এটা বন্ধ করে দেয়। তারাও আন্দোলন করেছিল আমাদের সাথে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য। নিজের সুবিধার জন্য তারা এটি বন্ধ করেছে। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা আমাদের মৌলিক দাবি এবং এটাই হতে হবে।’

সভায় জাতিসংঘ মিশনের পক্ষে ছিলেন মিসেস সারা পিট্রোপাওলি, মি. আদিত্য অধিকারী ও মিসেস নাজিয়া হাশেমি।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

banner close
banner close