
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) ‘ফুলকপি’ প্রতীকে দেশের ৫৪তম রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন লাভ করেছে। সম্প্রতি, আদালতের নির্দেশনায় দলটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে। এই নিবন্ধনের ফলে ‘ফুলকপি’ প্রতীকটি বিডিপির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় (রিট ৬৪৩১/২০২৩) অনুযায়ী, বিডিপি পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে, নির্বাচন কমিশন বিডিপিকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়। এর প্রেক্ষিতে, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়, যেখানে বলা হয়, বিডিপির নিবন্ধন নম্বর ৫৪ এবং তাদের ‘ফুলকপি’ প্রতীকটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিডিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৫ মে, যখন দলটির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন। ২৩ জুন হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে, যাতে জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন বিডিপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হবে না। পরবর্তীতে ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়, যা নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করে দলটি নিবন্ধন দেওয়ার জন্য।
এর আগে, বিডিপি ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তাদের আবেদন বাতিল করে দেয়। এরপর, বিডিপি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে, যার ফলস্বরূপ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়।
এই নতুন নিবন্ধন প্রাপ্ত দলটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের তালিকায় ৫৪তম দল হিসেবে স্থান পেলো। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এরপর ৫৩টি দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করেছে, যদিও কিছু দল পরবর্তীতে শর্ত পূরণ না করায় তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর মতো কিছু দলের নিবন্ধনও আদালতের আদেশে বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: