শনিবার

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১
২৩ শা’বান, ১৪৪৬

দেশের রাজনীতিকে দুই দশক তরুণরা প্রভাবিত করবে : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১০:১২

আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১০:১৮

শেয়ার

দেশের রাজনীতিকে দুই দশক তরুণরা প্রভাবিত করবে : নাহিদ ইসলাম
রাজনীতিকে দুই দশক তরুণরা প্রভাবিত করবে। ছবি : সংগৃহীত

আগামী দুই দশক তরুণরা দেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে যারা ধারণ করতে পারবে, তারাই সফলতা লাভ করবে।’

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব-২০২৫-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের তরুণরা দীর্ঘদিন নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে। পূর্ববর্তী প্রজন্মের ব্যর্থতার জন্য ছাত্র, তরুণ ও মাদরাসার ছাত্রদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে।

ঠনমূলক কাজে তরুণদের শক্তি ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে তরুণদের ভূমিকার স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যেই তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ আয়োজন করা হয়েছে। তাদের উজ্জীবিত করতে এবং ট্রমা থেকে বের করে আনাও এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য। তবে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা সম্ভব হবে না।

কারণ এক রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আন্দোলন সফল হয়েছে। তাই আরো এমন অনেক উৎসবের আয়োজন করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, তরুণরা পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছে, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় যাতে দেশে আরো একটি আওয়ামী লীগ, আরো একটি শেখ হাসিনা তৈরি হতে না পারে। কারণ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দেশের সব প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ধ্বংস করেছে, মানুষের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের পরিবর্তন ও সংস্কার যত দ্রুত সম্পন্ন হবে, তরুণরা তত দ্রুত ট্রমা কাটিয়ে উজ্জীবিত হবে। দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এই অভ্যুত্থান বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলেছে। অভ্যুত্থানকে দেশের জন্য ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই দেশ উপকৃত হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে পক্ষের দোষ থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যাতে দেশে পেশিশক্তিনির্ভর রাজনীতির অবসান ঘটানো যায়। তাহলেই আমরা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে আমরা তুলে ধরতে পারব।’

গত ১৬ বছর দেশের নানা অত্যাচার ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা স্থানে থেকেই যাচ্ছে। কারণ ফ্যাসিবাদের পেছনে অনেক শক্তি রয়েছে। পুলিশ আন্দোলন দমন করেছে বলে তারা দৃশ্যমান হয়েছে। তেমনি আন্দোলনে সামনে থেকে তরুণরা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাই তাদের দেখা গেছে। কিন্তু তরুণদের গণঅভ্যুত্থান সফলের পেছনেও শক্তি রয়েছে।

রাষ্ট্রের নানা জায়গায় ফ্যাসিবাদী রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেকে যারা ভোটাধিকার হরণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে চালানো হত্যাকাণ্ডের বিচার চলছে। শেখ হাসিনাসহ যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার এই বছরের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে।