.jpg)
শতাধিক গাড়ির বিশাল বহর নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়ে যে 'শোডাউন' দিয়েছেন, সেটির অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে 'স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য' জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন একই দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ড. তাসনিম জারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সারজিসকে সম্বোধন করে খোলা চিঠি লিখেছেন জারা। সেই চিঠিতে তিনি ওই আহ্বান জানান।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, "তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, আমার আসলে এই মুহূর্তে কোন টাকা নাই। ধার করে চলতেছি। এইটাই হচ্ছে রিয়্যালিটি। আমার পকেটে মানিব্যাগও নেই।"
কিন্তু সেই ঘটনার পর শতাধিক গাড়ির বিশাল এক বহরের আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জারা।
"এত বড় একটি আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো- এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক" বলেন তিনি।
"আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব"
"আমি আশা করি, বিষয়টি তুমি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে এবং জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরবে। এতে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে বলেই আমার বিশ্বাস," বলেন জারা।
এনসিপি'র একজন কর্মী হিসেবে দলের নীতিগত অবস্থান ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকেই বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন বলে নিজের ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন ড. তাসনিম জারা।
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার শতাধিক গাড়ির বড় বহর নিয়ে নিজ জেলা পঞ্চগড়ে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
নতুন দলটির বড় পদ পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এমন ‘শোডাউন’ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।
জবাবে সারজিস আলম যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তিনি দাবি করেছেন, গতকাল তাঁর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং জেলার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহরের অর্ধেকের বেশি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। যেগুলোর ব্যয় তাঁদেরকে বহন করতে হয়নি। বাকি প্রায় ৫০টির মতো গাড়ির ৬০০০ টাকা করে যে তিন লাখ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে, সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর পরিবারের আরও ৫০ বছর আগেও ছিল।
আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হলে তার খরচ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী সারজিস লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি অন্য কেউ না; শুধু আমার দাদা আমার জন্য যতটুকু রেখে গিয়েছেন, সেটা দিয়ে আমি আমার ইলেকশনও করে ফেলতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: