
ইতিহাস বলে স্বৈরাচাররা একবার পালিয়ে গিয়ে আর ফিরে আসতে পারে না। ইতিহাস থেকে আবার এটিও জানা যায় যে বিশ্বের প্রতিটি স্বৈরশাসকই পালানোর পর ফিরে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন বারবার বহুবার হাজারবার, কিন্তু লাভ হয়নি কখনো। ফ্যাসিস্ট হাসিনারও যেনো একই দশা, তিনি পালিয়েছেন ৮ মাস হতে চললো কিন্তু এখনো যেনো দেশে এসে প্রধানমন্ত্রী হবেন আবার আগের মত স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন সেই ভূত তার মাথা থেকে নামেনি। ভারতে বসেই দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তিনি। হাসিনা বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের মহাষড়যন্ত্র করেছেন, সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দেশে ‘গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা’ ও ‘সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ইতিমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও হয়েছে হাসিনার নামে। জানা যায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বৈঠকে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে ছিলেন পতিত স্বৈরাচার হাসিনা। শুধু হাসিনা নয় তার সাথে আরও ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের।
স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি এই মামলাটি করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খান। জানা যায়, হাসিনার ওই বৈঠকে অংশ নেন দেশ বিদেশের ৫৭৭ জন। এর মধ্যে ৭৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও বাকি ৫০৪ জনের পরিচয় উদ্ঘাটনে কাজ করছে সিআইডি।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই ভারতের মোদি সরকারের সাথে মিলে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। হাসিনার বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই‘শোটি হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতরি পরোয়ানাও জারি করেছে এই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: