
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীনতার উদাহরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু কাউকে মুক্তি দেবে কাউকে মুক্তি দেবে না, সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে জাতি হতাশ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অনতিবিলম্বে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত দিতে হবে। নতুবা জামায়াতে ইসলামী রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে।’
শুক্রবার দুপুরে খুলনা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সোনাডাঙ্গা আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা শিবির-২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আওয়ামী লীগ বিচারিক হত্যা করেছে। যখন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম, তখন আওয়ামী লীগ তাকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৩টি বছর কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। অবিলম্বে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয়ার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরীর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা ওলিউল্লাহ, মাওলানা শাহারুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: