কুরআন ও হাদিস অনুসারে যা অপছন্দনীয় তাকে মাকরুহ বলে।
নিষিদ্ধ সময়ের পাশাপাশি নামাযের এমন কিছু সময় রয়েছে যে সময়েমায পড়া মাকরুহ। তাই সেসব সময়ে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা উত্তম। নিচে নামাজের মাকরুহ সময়গুলো তুলে ধরা হলো-
১. ফজরের সময় হওয়ার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ব্যতীত আর কোনো নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম ১১৮৫)
২. ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত নামায পড়া মাকরুহ। (বুখারি ৫৫১)
তিন. আসরের নামায আদায়ের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামায পড়া মাকরুহ। (বুখারি ৫৫১)
৪. ইকামতের সময় নামায পড়া মাকরুহ। (মুসলিম ১১৬০)
৫. ঈদের নামাযের আগে ঈদগাহে কোনো নামায পড়া মাকরুহ। (বুখারি ৯৬৪, মুসলিম ৮৮৪, আল-মাজমু ৫/১৭, আলমুগনি ২/২৭৯)
৬. ঈদের নামাজের পরে ঘরেও কোনো নামায নেই, ঈদগাহেও নেই। (ইবনে মাজাহ ১২৮৩)
৭. সময় যদি এত কম হয় যে সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাযের সময় শেষ হয়ে যাবে, এমন সময় সুন্নত নামায পড়া মাকরুহ।
৮. খুব ক্ষুধা ও খাবারের প্রতি তীব্র চাহিদা থাকলে- সে সময় নামায পড়া মাকরুহ। এতে খাবারের দিকে মন থাকে, নামাযের জন্য নয়। (মুসলিম ৮৬৯)
৯. প্রস্রাব-পায়খানার চাপ নিয়ে নামায পড়া মাকরুহ। (মুসলিম ৮৬৯)
আরও পড়ুন: