শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

জুমার দিনে আগে মসজিদে যাওয়ার ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:২৫

আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:৩৩

শেয়ার

জুমার দিনে আগে মসজিদে যাওয়ার ফজিলত
দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ। ছবি: বিএসএস

জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন, এমনকি সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়। আরবি ‘জুমা’ শব্দটির বাংলা অর্থ একত্র হওয়া বা একত্রিত করা। এ দিনে আগে মসজিদে আসার জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কারের ঘোষণা।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)

জুমার দিন তাড়াতাড়ি এবং সবার আগে মসজিদে যাওয়ার অনেক সওয়াব রয়েছে। হাদিসে এসেছে, জুমার নামাজের জন্য যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিনে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো— যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো— যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী— তিনি মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী— একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন।’ (বুখারি: ৮৮২)

আরেক হাদিসে হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে।’ (আবু দাউদ: ৩৪৫)