দুনিয়ায় আল্লাহতায়ালার প্রিয়তম স্থান হলো মসজিদ। যেখানে মুমিন বান্দারা নামাজ আদায় করেন, মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করেন, জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত এবং আরও অন্য ইবাদত করেন।
ডান পায়ে প্রবেশ ও বাম পায়ে বের হওয়া
মসজিদে প্রবেশের সময় ডান পা আগে রেখে প্রবেশ করা এবং বের হওয়ার সময় বাম পা আগে রেখে বের হওয়া। কারণ সাহাবি হজরত ইবনে ওমর (রা.) এরূপ করতেন এবং নবী করিম (সা.)-এর সম্পর্কে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, 'হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) পারতপক্ষে সব কাজ ডানদিক থেকে করা পছন্দ করতেন। ' –সহিহ বোখারি ও মুসলিম
দুনিয়ায় আল্লাহতায়ালার প্রিয়তম স্থান হলো মসজিদ। যেখানে মুমিন বান্দারা নামাজ আদায় করেন, মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করেন, জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত এবং আরও অন্য ইবাদত করেন।
ডান পায়ে প্রবেশ ও বাম পায়ে বের হওয়া
মসজিদে প্রবেশের সময় ডান পা আগে রেখে প্রবেশ করা এবং বের হওয়ার সময় বাম পা আগে রেখে বের হওয়া। কারণ সাহাবি হজরত ইবনে ওমর (রা.) এরূপ করতেন এবং নবী করিম (সা.)-এর সম্পর্কে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, 'হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) পারতপক্ষে সব কাজ ডানদিক থেকে করা পছন্দ করতেন। ' –সহিহ বোখারি ও মুসলিম
তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ আদায় করার আগে না বসা। এ বিষয়ে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের মধ্যে কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন না বসে যতক্ষণ দুই রাকাত নামাজ না পড়ে। ' –সহিহ বোখারি
সুতরা স্থাপন করা
একা একা নামাজ আদায়কালে সামনে কিছু না থাকলে আড়াল তথা সুতরা নেয়া। (সুতরাং এমন বস্তুকে বলা হয়, যা নামাজি তার সম্মুখে রাখে, যেন তার সামনে দিয়ে কেউ না যায়)। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কোনো কিছুর সামনে নামাজ পড়ে, যা লোকদের আড় করে দেয়, অতঃপর কেউ যখন (নামাজি ও আড়কারী বস্তুর) মাঝ দিয়ে যেতে চায়, তখন সে যেন তাকে বাধা দেয়, যদি সে না মানে, তাহলে সে যেন তার সঙ্গে লড়াই করে; কারণ সে শয়তান। ' –সহিহ বোখারি
আজানের পর মসজিদ থেকে বের না হওয়া
মসজিদে আজান হওয়ার পর কোনো সঙ্গত কারণ ছাড়া মসজিদ থেকে বের হওয়া নিষেধ। হজরত আবু শাশা (রহ.) বলেন, আমরা সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদে বসেছিলাম, অতঃপর মুয়াজ্জিন আজান দিল। তারপর এক ব্যক্তি উঠে বেরিয়ে যেতে লাগল। অতঃপর হজরত আবু হুরায়রা (রা.) তার দিকে চেয়ে থাকলেন, যতক্ষণে সে মসজিদ থেকে বের না হলো। তারপর তিনি বললেন, 'এ ব্যক্তি আবুল কাসিম [নবী (সা.)]-এর অমান্য করল। ' সহিহ মুসলিম
মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় না করা
এমন কাজ না করা উচিত, যা মসজিদের আদব বহির্ভূত। যেমন, ক্রয়-বিক্রয় করা, হারানো বস্তু খোঁজা এবং এরূপ আরও অন্য কিছু। নবী করিম (সা.) বলেন, 'যদি তোমরা কাউকে মসজিদে কোনো কিছু বিক্রি কিংবা খরিদ করতে দেখ, তাহলে বল, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর যদি কাউকে সেখানে হারানো বস্তু খুঁজতে দেখ, তাহলে বল, আল্লাহ যেন তোমাকে তা ফিরিয়ে না দেন। ' -তারগিব ও তারহিব ২৯১
মসজিদে শোরগোল না করা
মসজিদে খেল-তামাশা, অনর্থক দুনিয়াবি কথাবার্তা এবং উঁচু শব্দে এমনভাবে কোরআন তেলাওয়াত না করা, যার কারণে অন্য নামাজি, জিকিরকারী এবং মসজিদে দ্বীনের শিক্ষা প্রদানকারীদের কষ্ট হয়। সাহাবি হজরত সায়িব বিন ইয়াজিদ (রা.) বলেন, 'একদা আমি মসজিদে ছিলাম, অতঃপর এক ব্যক্তি আমাকে নাড়া দেয়, তাকিয়ে দেখি, তিনি ছিলেন ওমর বিন খাত্তাব। তিনি আমাকে বললেন, যাও ওই দুই ব্যক্তিকে আমার কাছে নিয়ে আস, আমি তাদের নিয়ে এলাম। তিনি তাদের বললেন, তোমরা কোথাকার তারা বলল, তায়েফবাসী। তখন তিনি বললেন, যদি তোমরা এ শহরবাসী হতে তো তোমাদের দুইজনকে শাস্তি দিতাম। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মসজিদে তোমরা উঁচু আওয়াজে কথা বলছ!' –সহিহ বোখারি
নামাজে কাতার সোজা করা
নামাজের সময় মসজিদে লাইন সোজা করা এবং লাইনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। নবী (সা.) স্বয়ং লাইন সোজা করতেন এবং বলতেন, 'বরাবর হয়ে যাও, ভিন্ন ভিন্ন হইও না; নচেৎ আল্লাহ তোমাদের অন্তরকে ভিন্ন ভিন্ন করে দেবেন, বড় ও জ্ঞানীরা যেন আমার কাছে থাকে। ' (মুসলিম)। তিনি আরও বলেন, 'তোমরা লাইনগুলো সোজা করে নেবে; কারণ লাইন সোজা হওয়া পূর্ণাঙ্গ নামাজের পরিচয়। ' –সহিহ মুসলিম
মসজিদে ভিক্ষা না করা
মসজিদে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে দোয়া-প্রার্থনা না করা। আল্লাহতায়ালা বলেন, 'অবশ্যই মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে তোমরা অন্য কাউকে ডেক না। ' -সূরা জিন ১৮
আরও পড়ুন: