শারদীয় দুর্গোৎসবের আর বেশি দিন বাকি নেই। কৈলাশ থেকে মর্ত্যে আসবেন দেবী দুর্গা। জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে তাই চলছে দেবী বন্দনার প্রস্তুতি। হবিগঞ্জ জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিও এখন শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা তৈরিতে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। পাশাপাশি চলছে মন্ডপ সাজানোর কাজ। আগামী ২ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
বরাবরের মতো এবারো সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজার সন্ধ্যায় থাকবে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর দশমী তিথিতে ঘোড়ায় চেপেই বিদায় নেবেন দেবী দুর্গা। এবার হবিগঞ্জ জেলায় মোট ৬৪৫ মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, সবকটি পূজামন্ডপে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় জিআর প্রকল্পের ৬০০ কেজি করে মোট ৫৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়ার তালিকা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। খুব শীঘ্রই বরাদ্দগুলো স্ব-স্ব পূজামন্ডপের সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। প্রতিবারের মতই হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ীতে বৃহৎ পরিসরে উদযাপন করা হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
হবিগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নলিনী কান্ত রায় নিরু জানান, ‘প্রতিবারের মতই স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। হবিগঞ্জ শহরে মোট পূজামন্ডব ৩৬টি। এর মধ্যে একটি ছাড়া বাকীসবগুলো সার্বজনীন।’
এদিকে, হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ড. মো. রেজাউল হক খান জানান, ‘আসন্ন দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যাপক আকারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল উপজেলাগুলোর পূজা মন্ডপগুলোতে পুলিশী নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। পূজা শুরুর দিন থেকে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। আশা করছি হবিগঞ্জ জেলায় শান্তিপুর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে।
আরও পড়ুন: