বৃহস্পতিবার

২১ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৯ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

বাংলাদেশের আলেমদের যে সতর্কবার্তা দিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৫

শেয়ার

বাংলাদেশের আলেমদের যে সতর্কবার্তা দিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবে বহু হতাহতের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ ও জাতি আবারও গভীর সংকটের দিকে প্রবেশ করছে জানিয়ে বাংলাদেশের আলেমদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন স্বৈরাচার সরকার আমলে কারানির্যাতনের শিকার ইসলামি বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী।

বুধবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এমন পোস্ট দিয়েছেন তিনি। 

রফিকুল ইসলাম মাদানী তার পোস্টে বলেছেন, দেশ জাতি আবারও গভীর সংকটের দিকে প্রবেশ করছে, বিশেষ করে ইসলামপন্থীদের সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর উপদেষ্টা হওয়া কিংবা ইসকনের মারমুখী আচরণ সব একই সূত্রে গাথা!

তিনি এদেশের কওমি আলেমদের উদ্দেশ্য লিখেন, প্রিয় কওমি আলেম সমাজের মুরুব্বিগন, সাদ সাহেবের অনুসারীদের অভদ্র আচরণ কিংবা সন্ত্রাসী স্টাইলে কথাবার্তা আমাদেরও সহ্য হয় না! কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সামনে রেখে এদের বিষয়ে আমাদের সর্বশক্তি ব্যায় করা, সংঘর্ষের দিকে যাওয়া, পশ্চিমা এজেন্ডা কিংবা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথকে সহজ করে দিবে, যা আমরা কোনভাবেই  হতে দিতে পারি না!

রফিকুল ইসলাম সতর্ক করে দিয়ে বলেন, একটা বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে, এদেশে যারা মাস্টার মাইন্ড ছিল হাসিনার সময়ে, বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা, তারা এখনও আছে! এরা ১৮ সালে পূর্ব পরিকল্পনা করে এতাআাতিদের মাধ্যমে হামলা করে অনেক গুলো ছোট্ট ছোট্ট মাদ্রাসা ছাত্রকে মেরে ফেলতে চেয়ছিল, তারপর মিডিয়ার মাধ্যমে মাদ্রাসার প্রতি গার্ডিয়ানদের বিদ্বেষ তৈরি করার প্ল্যান ছিল! কিভাবে.? বলবে দেখেন হুজুররা আপনাদের সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়ানোর নামে আন্দোলন করিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, ব্যাস আর কেউ মাদ্রাসায় তার সন্তান দিবে না! (এটা ততকালীন একটা গোয়েন্দা প্রতিবেদন)

তিনি আরও বলেন, এরা চায় হুজুরদেরকে ভিন্ন কাজে ব্যস্ত রেখে এবং জাতির সামনে ভিলেন বানিয়ে জাতীয় আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে! হাসিনার এজেন্ডা ছিল পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের তাঁবেদারি করা
নতুন সরকারের যে পশ্চিমা এজেন্ডা নেই,এটা কিন্তু কেউ বলতে পারবে না! তাহলে কি সাদ অনুসারীদের আমরা এভাবেই ছেড়ে দিব? না কোনভাবেই না, আমরা জাতিকে এদের গোমরাহি থেকে সতর্ক করব,এবং বুঝানোর চেষ্টা করব!

যারা বুঝবে আলহামদুলিল্লাহ,না বুঝলে তার দায় সে নিবে আর এই নাজুক সময়ে বে দা য়া তিদের যেভাবে সহ্য করছি, এতটুকু সহ্য করতেই হবে! আর তা না করে এই মসজিদ নিয়ে মারামারির পর্যায়ে গেলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার সম্ভাবনা আছে! বিঃ দ্রঃ- ভুল বুঝবেন না আমরা আপনাদের সন্তান,আল্লাহ না করুন ১৮ সালের মতো এরা আমাদের একটা তালিবুল ইলমের উপর হাত তুললে সহ্য করতে পারব না বলেই আগে থেকে সতর্কতা হিসাবে কথাগুলো বললাম!