বৃহস্পতিবার

৩০ জানুয়ারি, ২০২৫
১৬ মাঘ, ১৪৩১
৩০ রজব, ১৪৪৬

সকালের মক্তবে মুখরিত লক্ষ্মীপুর

জিহাদ হোসেন রাহাত,লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১১:৩২

আপডেট: ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১১:৫৫

শেয়ার

সকালের মক্তবে মুখরিত লক্ষ্মীপুর
সকালের মক্তবে মুখরিত লক্ষ্মীপুর। বাংলা এডিশন

সকালের মক্তবে মুখরিত থাকে দেশের দক্ষিণের ভূমি লক্ষ্মীপুর। হিন্দুয়ানি নামের জনপদ হলেও বর্তমানে জেলাজুড়ে বিরাজ করছে সংখ্যার তুলনায় মুসলিম আধিপত্য। ফজরের নামাজের আযান হতেই ঘুম থেকে উঠে মক্তবের জন্য তৈরি হয় এখানকার শিশুরা। সকালের আলো ফুটতেই গ্রামের পুকুরে অযু করে বিলের শিশির ভেজা মেঠোপথ, ক্ষেতের আইল ও খালের সাঁকো বেয়ে মক্তবে হাজির হয় খুদে পড়ুয়ারা। জেলার রামগঞ্জ,রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদরে সকালের মক্তবে হাজির হয় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।

মক্তবে এসেই শুরু হয় মাখরাজ, মাসলা-মাসায়েল পাঠ। সমস্বরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যসহ শিশুদের কন্ঠে উচ্চারিত হয় প্রতিটি শব্দ। এটি মূলত পাড়াগাঁয়ের মক্তবের প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপে পড়ুয়াদের ছবক দেন ওস্তাদ। পবিত্র কুরআন, হরফ চেনার কায়দা ও আমপারা থেকে ছবক নিয়ে শিশু-কিশোর ও কিশোরীরা শুরু করে পড়া। বছর দুই-তিন ও চার বছরের শিশুরা ছবক নেয় সূরা পাঠের। সূরা ফাতিহাসহ ছোটো এবং গুরুত্বপূর্ণ সুরাগুলো কায়দা পাওয়ার আগেই নিতে হয় শিখে। লক্ষ্মীপুর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মক্তবগুলোর একটি আন নূর ফোরকানিয়া মক্তব। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি'র পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে মক্তবটি।

এ মক্তবে দারুণ যত্ন, প্রয়োজনীয় শাসন ও মধুর কন্ঠে ছবক প্রদান করেন- মোহাম্মদ জাহিদ হাসান। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবৎ ইসলামি ব্যাংক পরিচালিত এই মক্তব পরিচালনা করছেন তিনি। হাতে-কলমে সাদা বোর্ডেও শিক্ষার্থীদের হরফ শেখান জাহিদ। 

তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সকালের মক্তব শিক্ষা। এটি বাংলাদেশে বহু আগ থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে। বর্তমানেও এই শিক্ষার ধারাবাহিকতা রয়েছে। বছরের প্রথমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে উপস্থিতি বাড়বে বলেও জানান তিনি। তার মক্তবে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ জন।

শিশুরা বলছে, সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়। তবুও তারা কুরআন পড়তে আসে মক্তবে।

অভিভাবকরা জানান, দ্বীনি শিক্ষার জন্য সকালবেলা সন্তানদের মক্তবে পাঠাচ্ছেন তারা।