
প্রায় ৩ বছর ধরে আজানও হয় না, নামাজও অনুষ্ঠিত হয় না। অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মসজিদটি। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে একই ভাবে বন্ধ হয়ে আছে হাফেজ গড়ার কারখানা ঐতিহ্যবাহী এক হেফজখানাও।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী স্টেশনের পূর্ব পাশে প্রকৃতির সৌন্দর্যে ঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত বায়তুশ শেফা জামে মসজিদ। এর সঙ্গেই লাগোয়া হেফজখানা। ২০০৬ সালে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন হাফেজ মাওলানা শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি। ওই সময়েই প্রতিষ্ঠা পায় হেফজখানাটি। কিন্তু বর্তমানে এর অবস্থা সংকটাপন্ন।
এলাকাবাসী জানান, এই মসজিদে আজান না হওয়া দিনের পর দিন নামাজ না পড়ানোর ঘটনা দুঃখজনক।
এই হেফজখানা থেকে হাফেজ হয়ে বের হয়ে বড় বড় মাওলানা-মুফতি হয়েছেন অনেকে। মূলত সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার অভাবে এখানকার সবচেয়ে পুরোনো হেফজখানাটি বন্ধ হয়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবি, হেফজখানাটি পুনরায় চালু করা।
পালং খালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, একটি চক্র মসজিদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে, তবে হেফজ খানা চালু হলে মসজিদে আযান ও নামাজ পুনরায় চালু হবে।
বর্তমানে দাখিল ও নুরানি মাদ্রাসা চালু থাকলেও বন্ধ আছে হেফজখানা ও মসজিদ। সবশেষ ২০২২ সাল নাগাদ হেফজখানার কার্যক্রম দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: