শনিবার

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১
২৩ শা’বান, ১৪৪৬

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১০:৪১

আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১০:৪২

শেয়ার

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু। ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার বাদ ফজর নিজামুদ্দিন কারকাজের মাওলানা আব্দুস সাত্তারের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে পবিত্র জুমার বড় জামাত। সঙ্গে ইজতেমার ইতিহাসে এই প্রথম শবে বরাত পালিত হবে ময়দানে। 

বিশ্ব ইজতেমার এই পর্বে অংশ নিচ্ছেন তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা মোহাম্মদ সা'দ কান্ধলভীর অনুসারীরা।

সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টায় মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ ও ছোট ছেলে ইলিয়াস বিন সাদ ময়দানে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে একজন জুমার ইমামতি করবেন।

ইতিহাসে এবারই প্রথম শবে বরাতের রজনীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। দেশ বিদেশের কয়েক লক্ষ মুসল্লি আজ রাতে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার ময়দানে একসঙ্গে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন বলে জানা যায়। 

জুমার জামাতে ও শবে বরাত পালনের জন্য সারাদেশ থেকে লাখ লাখ মুসল্লি ময়দানে জড়ো হচ্ছেন। পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ এই রজনীতে ইজতেমার মুসল্লিদের মাঝে বাড়তি এক আবেগ কাজ করছে।

ইজতেমায় একসঙ্গে পবিত্র শবে বরাতে পরম করুণাময় মহান আল্লাহর আনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন হবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মোনাজাত করবেন খিত্তায় খিত্তায়। ইতিমধ্যে ইজতেমার ময়দানে ভারতের নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজ ও পাকিস্তানের শীর্ষ মুরুব্বিগণ উপস্থিত হয়েছে

বৃহস্পতিবার যোহরের নামাজের পর কাকরাইল মসজিদের বর্ষিয়ান মুরুব্বি মাওলানা মোশাররফ হোসেনের স্বাগতিক বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আসরের পর পাকিস্তানের আহলে শূরা মাওলানা শায়েখ হারুন কোরাইশির বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার মূল বয়ান শুরু হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা বয়ান করবেন মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন বিয়ে।

সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম ইজতেমা চলাকালীন আমরা শবে বরাত পাচ্ছি। ইজতেমা মাঠে উপস্থিত লাখো মানুষ একসঙ্গে শবে বরাতের নামাজ পড়বেন। নামাজ শেষে একসঙ্গে রোজা রাখবেন, বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করবেন। মুসলিমদের জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া।