
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মাওলানা সাদ কান্দলভী অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা।
রোববার দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৭ মিনিটে। আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাতের দিন রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ হেদায়েতের বয়ান শুরু করেন। বাংলা তর্জমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। হেদায়েতের বয়ান শেষ হলেই শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ।
এসময় ধনী-গরীর নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশা ও গোষ্ঠীর মানুষ আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিশাল জনসমুদ্র থেকে আকাশ কাঁপিয়ে ধ্বনিত হয় ‘ইয়া আল্লাহ, ইয়া আল্লাহ’। আখেরি মোনাজাতের সময় মুঠোফোন, বেতার, ওয়ারলেস সেট, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের ফলে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তুলেছেন আল্লাহর কাছে।
দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন টঙ্গীর এলাকায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
এই পর্বে ৯ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে হয়। বিয়ে পড়ান মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী, বর-কনের সম্মতিতে বর ও উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে যৌতুকবিহীন বিয়ে হয়ে থাকে। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় মোহরে ফাতেমি’র নিয়মানুযায়ী। এতে মোহরানার পরিমাণ দেড়শ তোলা রুপা বা তার সমমূল্য অর্থ। বিয়ের পর নবদম্পতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও খুরমা খেজুর এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার ৭০০ বিদেশি মেহমান উপস্থিত হন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, কম্বোডিয়া, কানাডা, চায়না, ফিজি, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সুদান, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: