বুধবার

৩০ এপ্রিল, ২০২৫
১৭ বৈশাখ, ১৪৩২
,

হজে মাবরুরের ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:০০

আপডেট: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:০১

শেয়ার

হজে মাবরুরের ফজিলত
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা হজের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন এবং মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সেই ঘরের হজ করা অবশ্য কর্তব্য এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ৯৭)

অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তারা তোমার নিকট আসবে পায়ে হেঁটে ও সর্বপ্রকার ক্ষীনকায় উটগুলোর পিঠে, তারা আসবে দূর-দুরান্তের পথ অতিক্রম করে যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোয় উপস্থিত হতে পারে। (সূরা হজ, আয়াত: ২৭-২৮)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, হাজ্জ-ই-মাবরূর (মাকবুল হজ)। (বুখারি, হাদিস: ১৪২৯)

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে নবজাতক শিশু, যাকে তাঁর মা এ মুহূর্তেই প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে। (বুখারি, হাদিস: ১৪৩১)

হজের ফরজ ৩টি

এক. ইহরাম বাঁধা। দুই. উকুফে আরাফা (আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা)। তিন. তাওয়াফুয জিয়ারাত।

হজের ওয়াজিব ৬টি

এক. ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড়গুলো মধ্যে ৭ বার সায়ি করা।

দুই. অকুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যদয় পর্যন্ত একমুহূর্তের জন্য হলেও অবস্থান করা।

তিন. মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিক্ষেপ করা।

চার. ‘হজে তামাত্তু’ ও ‘কিবরান’ কারীরা ‘হজ’ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।

পাঁচ. ইহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল কাটা।

ছয়. মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালে তাওয়াফ করা।

banner close
banner close