শুক্রবার

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
১ ফাল্গুন, ১৪৩১
১৫ শা’বান, ১৪৪৬

অবশেষে ফিরছেন মহাকাশে আটকে পড়া নভোচারীরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২০:১৮

শেয়ার

অবশেষে ফিরছেন মহাকাশে আটকে পড়া নভোচারীরা
ছবি: সংগৃহীত

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পৃথিবী’তে ফিরে আসছেন মহাকাশে আটকে পড়া দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, পূর্ব-নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দু’সপ্তাহ আগেই পৃথিবীতে ফিরবেন গত ৮ মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) অবস্থান করা এই দুই নভোচারী। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে নাসা ঘোষণা করেছে, তাঁদের আসন্ন ক্রু-১০ মিশনটি পূর্ব-নির্ধারিত ২৫ মার্চের পরিবর্তে ১২ মার্চ মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

ক্রু-১০ মিশনের যাত্রা এগিয়ে আনার কারণ প্রসঙ্গে নাসা বলছে, তাঁরা এই মিশনে স্পেসএক্সের তৈরি নতুন ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের পরিবর্তে এর আগে মহাকাশযাত্রায় ব্যবহৃত একটি ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল ‘এনডেভার’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন ড্রাগন ক্যাপসুল তৈরিতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই এই পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে নাসা।

‘এনডেভার’ ড্রাগন ক্যাপসুলটি এর আগে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মিশনে ব্যবহার করা হয়েছে। সে হিসেবে ক্রু-১০ মিশনটি হতে যাচ্ছে এর চতুর্থ মহাকাশ মিশন। তবে নাসা জানিয়েছে, মিশনের নতুন সূচি নির্ভর করবে এনডেভার-এর মূল্যায়ন এবং ফ্লাইটের জন্য এটিকে প্রস্তুত করে তোলার উপর।

নাসার ক্রু-১০ মিশনে ড্রাগন ক্যাপসুলটি মহাকাশে পৌঁছাবে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের সহায়তায়। নাসার এবারের মিশনে মহাকাশ স্টেশনে যাবেন চারজন নভোচারী। এর মধ্যে নাসার দুই নভোচারী হলেন কমান্ডার আন ম্যাকক্লেইন ও পাইলট নিকোল আয়ার্স। অন্য দুই নভোচারীই মিশন স্পেশালিষ্ট- জাপানের তাকুয়া ওনিশি ও রাশিয়ার কিরিল পেসকভ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ জুন বোয়িং-এর মহাকাশযান স্টারলাইনারে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি জমান সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। প্রাথমিকভাবে ৮ দিন পরেই পৃথিবীতে ফিরে আসার পরিকল্পনা থাকলেও স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে হিলিয়াম লিকসহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে সুনিতা ও বুচের ৮ দিনের মিশন ইতোমধ্যেই গড়িয়েছে ৮ মাসে।

এবার দেখার বিষয়, নাসার সদ্য-নির্ধারিত ১২ মার্চ তারিখে ক্রু-১০ মিশনটি মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারে কিনা। সুনিতা ও বুচের মর্তে প্রত্যাবর্তন যে এখন নির্ভর করছে ক্রু-১০ মিশনের উপর।