বুধবার

২ এপ্রিল, ২০২৫
১৮ চৈত্র, ১৪৩১
৪ শাওয়াল, ১৪৪৬

‘কেয়ারলেস পিপল’ নিয়ে বিপাকে জাকারবার্গের মেটা!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ, ২০২৫ ২২:৩১

শেয়ার

‘কেয়ারলেস পিপল’ নিয়ে বিপাকে জাকারবার্গের মেটা!
বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটাকে বিপদেই ফেলেছে সারাহ উইন-উইলিয়ামস। ছবি: রয়টার্স

প্রাক্তন কর্মী সারাহ ইউন-ইউলিয়ামসের লেখা চাঞ্চল্যকর বই ‘কেয়ারলেস পিপল’ নিয়ে বিপাকেই পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা। ইউন-ইউলিয়ামসের বইটি জুড়ে আছে মেটা সম্পর্কিত বিভিন্ন গোপন ও বিতর্কিত বিষয়। প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ থেকে শুরু করে মেটার শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের সম্পর্কে বইটি’তে এমন সব নেতিবাচক তথ্য রয়েছে, যেগুলোকে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কিছুটা রেহাই মিলেছে আমেরিকান আর্বিট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে।

আমেরিকান আর্বিট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের সংকটকালীন বিচারক নিকোলাস গোয়েন বুধবার এক শুনানির পর রায়ে বলেন যে, জরুরী ব্যবস্থা না নিলে মেটা 'তাৎক্ষণিক, অপূরণীয় ক্ষতির’ সম্মুখীন হবে। আর সে কারণেই তিনি বইটির প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 

রায়ে বলা হয়েছে যে, উইন-উইলিয়ামসের উচিত বইটির প্রচার বন্ধ করা এবং যতটা সম্ভব বইটির পুনরায় প্রকাশ না করা। তবে রায়ে প্রকাশকের তরফ থেকে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, বইটির লেখক সারাহ ইউন-ইউলিয়ামস শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন বইটির প্রকাশক ম্যাকমিলান। শুনানিতে ম্যাকমিলানের প্রতিনিধি নিজেদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন যে, তাঁর প্রতিষ্ঠান সালিশি চুক্তির অধীনে দায়বদ্ধ নয়, যেটা কর্মচারী ও কোম্পানির মধ্যে বিচ্ছেদ চুক্তির অংশ ছিল। 

জরুরী এই সালিশি রায় নিজেদের পক্ষে আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে মেটায়। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসে পোস্ট করে বলেন, ‘এই রায় নিশ্চিত করে যে, সারাহ উইন-উইলিয়ামসের মিথ্যা ও মানহানিকর বইটি কখনই প্রকাশিত হওয়া উচিত হয়নি।’

উল্লেখ্য, ইউন-ইউলিয়ামস এক সময় মেটার গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বইটি’তে সারাহ ইউন-ইউলিয়ামস তাঁর মেটায় চাকরিকালীন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যেখানে জাকারবার্গের পাশাপাশি প্রাক্তন চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গ ও বর্তমান চিফ গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার জোয়েল কাপলান সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং মেটার আভ্যন্তরীণ গোপন বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করেছেন। 

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের রিভিউতে ‘কেয়ারলেস পিপল’ বইটি সম্পর্কে বলা হয়েছে এভাবে: ‘বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী কোম্পানির গোপন ও কুৎসিত দিকগুলোর বিশদ বিবরণ’। আমেরিকান আর্বিট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া রায় সম্পর্কে ইউন-ইউলিয়ামস ও ম্যাকমিলান এখনও তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

 

banner close
banner close