সম্ভবত শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে বিদায়ী টেস্ট খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। এতে করে কানপুর টেস্টই আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে তার জন্য।
বৃহস্পতিবার ক্রিকইনফোকে হোয়াটসঅ্যাপে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানান, পরবর্তী সময়ে কোথায় যাব, জানি না। তবে এটা নিশ্চিত যে আমি দেশে ফিরছি না।
২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড থেকে সাকিবকে বাদ দেয়ার দাবি তুলেছে আন্দোলনকারীরা।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের উদ্দেশে দেয়া স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা সাকিবকে অতিদ্রুত বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, তা না করলে খেলার দিন মিরপুর এলাকায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। ফারুক আহমেদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘এর ফলে যদি কোনো অরাজকতা সৃষ্টি হয়, বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশগুলো খেলতে না আসে কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট আইসিসির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্য যেকোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে ক্ষেত্রে সব দায়ভার বিসিবি প্রধান হিসেবে আপনাকে নিতে হবে।
এএফপির বরাত দিয়ে জানা যায়, এবার সাকিবের দেশে না ফেরার ইস্যুতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তাকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই উপদেষ্টা।
এদিকে বাংলাদেশে না ফিরতে পারার বিষয়ে সাকিব জানিয়েছেন, নিজের নিরাপত্তার জন্যই এখন দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। সাকিব বলেন, দেশে ফেরার কথা ছিল… কিন্তু এখন হয়তো সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য ফিরতে পারব না, আমার নিজের নিরাপত্তার জন্য...।
এরা আগে চলতি মাসের শুরুতে এক ফেসবুক পোস্টে বিপ্লবের সময় নীরব থাকার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন সাকিব।
আরও পড়ুন: