টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন টাইগাররা ব্যাটাররা। স্বাগতিক শিবিরে প্রথম আঘাতটি আনেন প্রোটিয়া পেসার মুল্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন সাদমান ইসলাম। প্রোটিয়া পেসার ওয়ান মুল্ডারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি ব্যাটার সাদমান ইসলাম। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এক ওভার বিরতি দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হকও। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এবারও সেই মুল্ডারের আঘাত, তার বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেনেইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আউট হওয়ার তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৭ রান। মুল্ডারের বলে শর্ট মিড অফে কেশব মহারাজের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টাইগার অদিনায়ক। স্বাগতিকদের প্রথম তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান মুল্ডার।
উইকেটে এসে বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু কাগিসো রাবাদার বল যেন বুঝে উঠতে পারলেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষমেশ উইকেট দিয়ে আসলেন তিনি। ২০ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।
৪০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। চরম ব্যাটিং বিপর্যযে পড়া বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিতে পারলেন না লিটন দাস। স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান যোগ হতেই আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ত্রিস্টান স্টাবসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আতে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১ রান।
লাঞ্চ বিরতি থেকে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। দলীয় ৭৬ রানে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। ড্যান পিয়েটের বলে সরাসরি বোল্ড হন জয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯৭ বলে ৩০ রান।
টেস্টে নিজের অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি জাকের আলী। ১৫ বল খেলে ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। কেশভ মহারাজের বলে পপিং ক্রিজ থেকে বেরিয়ে বড় শট খেলতে গেলে বল মিস করেন জাকের। পরে তাকে স্টাম্পড আউট করেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ভেরেইনি।
এরপর নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম মিলে যোগ করেন ৪৬ বলে ২৬ রান রান। তাদের দুজনের ব্যাটেই একশ পার করে বাংলাদেশ। দলীয় ১০২ রানে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রাবাদার বলে মুল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাঈম হাসান। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ৮ রান। ৩১ বলে ১৬ রান করা তাইজুলকে ফেরান মহারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা, মুল্ডার ও কেশভ মহারাজ নেন ৩টি করে উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন ড্যানি পিয়েট।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুন: