ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নাকি রদ্রি—এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর আলোচনায় ছিলেন মূলত এ দুজনই। বাজিকরদের ফেবারিট ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস। কিন্তু তাকে পেছনে ফেলে ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত পুরস্কারটি জিতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির ২৮ বছর বয়সি স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি।
রদ্রির হাতেই যে ব্যালন ডি’অর উঠছে, এটা অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জেনে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাই প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলের অনুষ্ঠান বয়কট করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ব্যালন ডি’অরের বিজয়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে মনে করে রিয়াল কর্তৃপক্ষ; যা হারিয়ে বেশ বিমর্ষ ছিলেন ভিনিসিয়ুস নিজেও।
নিজের ব্যালন ডি’অর না পাওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে কথা বলেছেন ভিনিসিয়ুস। এবার ব্যালন ডি’অর না জিতে সেলেসাও তারকা যে ভীষণ হতাশ, তার পোস্টে ফুটে উঠেছে সেটাই। তিনি লিখেছেন, ‘আমার এটা (ব্যালন ডি’অর) জিততে হলে পরবর্তীতে এর চেয়ে ১০ গুণ ভালো করতে হবে। তারা তো (আমাকে পুরস্কার দিতে) প্রস্তুতই নয়।’
গত মৌসুমে ভিনি জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৪৯ ম্যাচ। সেখানে গোল করেছেন ২৬টি ও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১টি। গত মৌসুমে তার শিরোপার তালিকায় ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। তবে জাতীয় দলের হয়ে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। কোপা আমেরিকায় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় ব্রাজিল।
অন্যদিকে রদ্রি গত মৌসুমে খেলেছেন ৬৩ ম্যাচ। গোল করেছেন ১২টি ও অ্যাসিস্ট ১৬টি। তার দখলে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও স্পেনের জার্সিতে ইউরো। ইউরোপের সেরার মঞ্চে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন এ মিডফিল্ডার। তাই ক্লাব আর জাতীয় দলে সমান পারফরম্যান্স বিচারে কিছুটা এগিয়েই ছিলেন রদ্রি।
গত মৌসুমে স্পেন ও ম্যানসিটির হয়ে রদ্রি হেরেছেন মোটে এক ম্যাচ। যেখানে ভিনিসিয়ুস হেরেছেন তিন ম্যাচ। রদ্রি পুরো মৌসুমে ১১টি বড় সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ভিনিসিয়ুসের বেলায় সংখ্যাটা ১৯। তবে বড় সুযোগ ভিনি মিস করেছেন ২৬টি। রদ্রি মিস করেছেন ৪টি। মৌসুমে রদ্রির গড় রেটিং ছিল ৭.৮৯। অন্যদিকে ৭.৩৬ গড় রেটিং দিয়ে নিজের দৌড় শেষ করেছিলেন ভিনিসিয়ুস।
আরও পড়ুন: