শনিবার

২৩ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

দেশে ফিরছেন সাফজয়ী নারী দল, ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:১১

শেয়ার

দেশে ফিরছেন সাফজয়ী নারী দল, ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা
ফাইল ছবি

ইতিহাস গড়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখা নারীদের নিয়ে আনন্দে ভাসছে দেশের আপামর ফুটবল ভক্তরা। সাফজয়ী নারীরা আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পর নারী দলকে সংবর্ধনা দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ জয়ের পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে আবারও ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে বাফুফে। সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে একটি বাস।

মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘একটি ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের শহর প্রদক্ষিণ করানো হবে। এ জন্য বিআরটিসির একটি বাস প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন সাফ বিজয়ী মেয়েরা।

এদিকে সাফ বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। মেয়েরা দেশে ফিরলে তিনি তাঁদের সংবর্ধনা জানাবেন বলেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পরপরই ফোনে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এএফসির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাফুফের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় আছেন। নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন! অভিনন্দন!! অভিনন্দন!!!’

তাবিথ আউয়াল আরও লিখেছেন, ‘নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পুরো দেশের মানুষ আজ আমাদের নারী ফুটবলারদের নিয়ে গর্বিত, আমরা আনন্দিত। নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় এই জয় আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে, যেকোনো প্রতিকূলতা জয়ে এই নারী চ্যাম্পিয়নরা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’

বুধবার রাতে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে এই নেপালকেই ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাবিনা-তহুরারা।

বুধবার ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। বিরতির পর ৫২ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ সময় আক্রমণে ওঠে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। নেপালের ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা তহুরা খাতুনকে। তহুরা বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের ভেতরে। দৌড়ে গিয়ে সেটাতে কোনওরকমে ডান পা লাগিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন। তাকে রুখতে আসা নেপালের গোলরক্ষক ও আরেকজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সেখানেই ভূপাতিত হন।

তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি বাটলারের শিষ্যরা। ৫৬ মিনিটেই সমতা ফেরায় নেপাল। শেষ দিকে ঋতুপর্ণার দারুণ এক গোলে শিরোপা নিশ্চিত করেন সাবিনারা।

৮১ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা বিজয়সূচক গোলটি করেন। বাঁ প্রান্ত থেকে অসাধারণ শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ঋতুপর্ণা। এই গোলেই শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।

এবারের সাফের সেরা যারা:

ফেয়ার প্লে: ভুটান

সেরা গোলরক্ষক: রূপনা চাকমা (বাংলাদেশ)

সর্বোচ্চ গোলদাতা: ডেকি লাজোম (ভুটান)

সেরা খেলোয়াড়: ঋতুপর্ণা চাকমা (বাংলাদেশ)

ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়: ঋতুপর্ণা চাকমা (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশ দল:

রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভিন, শিউলি আজিম, আফঈদা খন্দকার, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, সাবিনা খাতুন (স্বপ্না রানী), তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।