বার্নাব্যুকে রিয়াল মাদ্রিদ এতটাই শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করেছিল এগিয়ে থাকলেও শেষের বাশি বাজার আগ পর্যন্ত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারতনা প্রতিপক্ষ। ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতার অসংখ্য উপখ্যান আছে লস ব্লাঙ্কোসদের। তবে তারাই যেন চেনা মাঠে এখন পুরোপরি ছন্দহীন। নিজেদের দুর্গেই হারছে একের পর এক ম্যাচ।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই নিয়ে বার্নাব্যুতে টানা দু'বার ধরাশায়ী হলো আসরের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। যা চলতি মৌসুমে তাদের তৃতীয় হার। অথচ গোটা গত মৌসুমেই মাত্র ২ ম্যাচ হেরেছিল তারা।
কাগজে-কলমে মিলানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থেকে মাঠে নেমেছিল রিয়াল। তবে রিয়ালকে চমকে দিয়ে লিড নেয় মিলানই। ১২ মিনিটের মাথায় মালিক থিয়াওয়ের গোলে এগিয়ে যায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। পুলিসিচের নেওয়ার কর্নার থেকে উড়ে আসা দারুণ এক ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান থিয়াও। এই লিড অবশ্য খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মিলান। ২০ মিনিটের মাথায় বক্সের মাঝে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ফাউল করা হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান ভিনিসিয়াস।
সমতায় ফিরে রিয়াল চেষ্টা করছিল এগিয়ে যাওয়ার। তবে মিলানের দৃঢ়তায় খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিল না তারা। এর মধ্যে প্রথম গোল পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসও দারুণভাবে বেড়ে যায় মিলানের। যার ফলে রিয়াল না পারলেও ৩৮ মিনিটে মাদ্রিদকে ফের হতাশায় ভাসিয়ে এগিয়ে যায় মিলান। চুয়ামেনির ভুলে বল পান আলভারো মোরাতা। সেখান থেকে নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মোরাতা। ২-১ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মিলান।
এদিকে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর একাদশে বদল আনেন আনচেলত্তি। অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জায়গায় ব্রাহিম দিয়াজ এবং ফেদে ভালভের্দের জায়গায় এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে মাঠে নামান ইতালিয়ান এই কোচ।
একাদশে বদল আনার পর রিয়ালের খেলার গতি বাড়ে। তবে একের পর এক আক্রমণে গেলেও গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। এদিকে ম্যাচ যত এগোতে থাকে মিলান আক্রমণের ধার বাড়ায়। শেষ পর্যন্ত সফল হয় মিলানই। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মিলানকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন তিজানি রেইনডার্স। এরপর শেষ পর্যন্ত রিয়াল আর গোল করতে না পারায় মাঠ ছাড়তে হয় ৩-১ গোলের হার নিয়েই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচ চলতি মৌসুমে এখনও সবগুলো ম্যাচ জেতা লিভারপুলের বিপক্ষে, অ্যানফিল্ডে। বায়ের লেভারকুজেনকে রাতেই ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টেবিলেরও শীর্ষস্থান দখল করে আছে তারা।
আরও পড়ুন: