ক্রিকেট বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত খবর হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ। আইসিসির মেগা ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম এই টুর্নামেন্টটি আসন্ন বছর পাকিস্তানের মাটিতে হওয়ার কথা ছিল, তবে একে কেন্দ্র করে বর্তমানে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান আয়োজক দেশ হলেও, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য কয়েকটি কারণে এই টুর্নামেন্ট কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এছাড়া, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি এবং অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও যথেষ্ট আলোচনা সৃষ্টি করেছে, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। আইসিসি এই ব্যাপারে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা, সেটাই এখন অপেক্ষার বিষয়।
অন্যদিকে, ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে, ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, এবং শ্রীলঙ্কা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে, তবে এসবের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ভারত পাকিস্তানে গিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায়, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
এদিকে, পাকিস্তান এই প্রস্তাবে রাজি হতে চাচ্ছে না। পাকিস্তান চায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তাদের মাটিতেই আয়োজন করা হোক, এবং ভারতের বদলে শ্রীলঙ্কা কে অংশগ্রহণে নিয়ে আসলে পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব হবে। এমন অবস্থায় পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহারও করতে পারে বলে অনেক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ ও বড় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও পাকিস্তানে গত কয়েক বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দলগুলো সফর করেছে এবং নিরাপত্তা নিয়ে কোনো বড় সমস্যা হয়নি, তবুও বিসিসিআই পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যদি সেখানে খেলা হয়, তবে তা হবে তাদের জন্য অনিরাপদ। এর ফলে, পাকিস্তান এককভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের আশা করছে, কিন্তু ভারতীয় প্রভাব এবং রাজস্ব নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে।
এছাড়া, আইসিসির রাজস্ব থেকে সবচেয়ে বড় অংশ পায় বিসিসিআই, আর এই কারণে বিসিসিআই পাকিস্তান থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বীকৃতি পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, এবং আইসিসি যদি কোনো দ্রুত সমাধানে না পৌঁছাতে পারে, তবে এটি বড় ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: