অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুটা হয়েছিল চমক দিয়ে। হাতে ১ উইকেট রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকার পরও বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ইনিংস ঘোষণা করেন। কন্ডিশনের সুবিধা নিতেই এ সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন টাইগার বোলাররা। তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাড়ায় ৩৩৪ রান।
জিততে হলে মিরাজের দলকে রেকর্ড গড়তে হবে। এমন সমীকরণের ম্যাচে আবারো ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ। মাঠ ও প্রতিপক্ষ পাল্টালেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পুরনো রোগ পাল্টায়নি। ব্যাটারদের কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে আরেকটি টেস্ট হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
যেখানে উইকেটে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যাটারদের সামনে সেখানে টিকে থাকার চেষ্টা একদমই দেখা গেলো না কারো মধ্যে। তাই চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৩১ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৯। জয়ের জন্য শেষ দিনে প্রয়োজন ২২৫ রান, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট।
৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। কেমার রোচের বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান। আর দলীয় ৭ রানের সময় ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পারফরম্যান্স না দেখানোর পরও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া শাহাদাৎ দীপুও দলের জন্য কোনো অবদান রাখতে পারেনি। উল্টো দলীয় ২০ রানের সময় আউট হয়ে দলকে আরও চাপে ফেলে যান। সেই চাপ সামলাতে পারেননি অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও। ১১ রান করে দলীয় ২৩ রানে বিদায় নেন তিনিও।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ভরসা দিচ্ছিলেন অধিনায়ক মিরাজ ও লিটন দাস। দুইজন শুরুটাও করেছিলেন ভালোই। তবে লিটন দাসের বিলাসী এক শটে ভাঙে সেই জুটিও। তার বিদায়ে দলীয় ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ঘোর বিপদে টিম বাংলাদেশ। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এ পর্যন্ত দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংসটি খেলেন মিরাজ। জাকের আলী ১৫ রানে ক্রিজে আছেন। তার সাথে আছেন হাসান মাহমুদ, তবে তিনি এখনো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
ক্যারিবীয়দের পক্ষে রোচ ও জেইডেন সিলস তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। আবার বাকি উইকেটটি শিকার করেছেন শামার জোসেফ।
আরও পড়ুন: