বুধবার

২৭ নভেম্বর, ২০২৪
১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২৫ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজন নিয়ে শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:০৪

শেয়ার

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজন নিয়ে শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শাসক সংস্থা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী শুক্রবার বোর্ড সভা ডেকেছে। ভার্চুয়ালি হবে এ সভা। যেখানে ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি।

ধারণা করা হচ্ছে, যদি পাকিস্তান প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে সম্মত না হয়, তাহলে ভোটাভুটির মাধ্যমে দেশটির আয়োজন অধিকার কেড়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানকে তাদের অবস্থান পরিবর্তনে রাজি করানোর জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে, পিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, তারা কোনো ধরনের সহ-আয়োজন বা অতিরিক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব গ্রহণ করবে না এবং পুরোপুরি পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট আয়োজনের অবস্থানেই অনড় থাকবে। - ক্রিকইনফো

দীর্ঘ বিরতির পর আইসিসির ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তান। যেটি ২০২৫ সালের মাঠে গড়ানোর কথা। তবে, ভারত আপত্তিতে টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকারিভাবে অনুমতির কারণ দেখিয়ে ভারত দল পাঠানোর অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ঠিক যখন পিসিবি টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছিল। এর ফলে পাকিস্তানের উপর হাইব্রিড মডেল গ্রহণের জন্য চাপ বাড়ানো হয়েছে, যেখানে কিছু ম্যাচ অন্য দেশে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সভায় হাইব্রিড মডেল নিয়ে আলোচনা হবে। যদি পাকিস্তান এতে সম্মত না হয়, তাহলে আইসিসি পুরো টুর্নামেন্ট অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য ভোটাভুটি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, পিসিবি টুর্নামেন্ট বর্জন বা ভারতের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। তবে আর্থিক কারণে সম্প্রচারকারীরা এই বিকল্প সমর্থন নাও করতে পারে।

আইসিসিতে ভারতের শক্তিশালী আর্থিক প্রভাব তাদের বড় সুবিধা দেয় এবং আগামী মাসে জয় শাহ আইসিসির নেতৃত্ব গ্রহণ করলে এই অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। এদিকে, পাকিস্তান সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে লন্ডনে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। পিসিবি করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারে ১৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বিনিয়োগ করেছে, যা টুর্নামেন্ট স্থানান্তরিত হলে ক্ষতির মুখে পড়বে। যদিও আইসিসি আর্থিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে পারে, পিসিবি জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা এই ধরনের প্রস্তাব গ্রহণ করবে না বা তাদের আয়োজকের অধিকার নিয়ে আপস করবে না।

আইসিসি বোর্ডের ১৭ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্ক্লে, একজন স্বাধীন পরিচালক (নাম এখনো নিশ্চিত হয়নি), মহসিন নকভি (পাকিস্তান), মিরওয়াইস আশরাফ (আফগানিস্তান), মাইক বেয়ার্ড (অস্ট্রেলিয়া), ফারুক আহমেদ (বাংলাদেশ), রিচার্ড থম্পসন (ইংল্যান্ড), জয় শাহ (ভারত), ব্রায়ান ম্যাকনিস (আয়ারল্যান্ড), রজার টোয়াস (নিউজিল্যান্ড), ড. মুসা আবদুল সামাদ (দক্ষিণ আফ্রিকা), শাম্মি সিলভা (শ্রীলঙ্কা), ড. কিশোর শ্যালো (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), তাভেংওয়া মুকুহলানি (জিম্বাবুয়ে) এবং সহযোগী সদস্য পরিচালক মুবাশির উসমানি, মহিন্দা ভল্লিপুরম ও ইমরান খাজা (ডেপুটি চেয়ারম্যান)।