
২০২৩ সালে লিওনেল মেসি মেজর লিগ সকারে পা রাখার পর থেকেই লিগটির গাম্ভীর্যতেই এসেছে অনেক পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলেও মেসি প্রভাবটাও দৃশ্যমান বলা চলে। মেসির জাদুতে এগিয়ে যাচ্ছে ইন্টার মায়ামিও। ক্লাবটি দুটি শিরোপাও জিতেছে মেসি যোগ দেওয়ার পর। গোলাপি জার্সিতে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন মেসিও। তার মাথায় উঠেছে এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মুকুট।
চলতি বছর ১৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করেছেন মেসি, পাশাপাশি করিয়েছেন ১৬টি গোল। যদিও কোপা আমেরিকা ও চোটে পড়ে ৬২ দিন মাঠে নামা হয়নি তার। এরপরও নিজের নৈপুণ্যে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। চোটের কারণে মেসি দলের বাইরে থাকায় ভুগেছে মায়ামিও। হাতছাড়া হয়ে গেছে এমএলএসের শিরোপা। তবে মায়ামি সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছে।
খেলোয়াড়, সংবাদকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে এমএলএসের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটির নাম ২০১৫ সালে ‘ল্যান্ডন ডোনাভ্যান এমএলএস মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ করা হয় লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির রেকর্ড স্কোরার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যান্ডন ডোনোভ্যানের নামানুসারে।
নিজের সাফল্যে মেসি খুব একটা তৃপ্ত নন দলীয় সাফল্য ধরা না দেওয়ায়। এমএলএসের ফাইনালে খেলতে না পারায় কিছুটা অসন্তুষ্টি আছে মেসির মাঝে।
তবে আগামী আসরে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে থাকার লক্ষ্য জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘এই বছর এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। এবার সেটা পূর্ণ হয়নি, তবে আগামী বছর আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে আবার চেষ্টা করব।’
সম্মিলিত ভোটে মেসি বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এমএলএস কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি। কলম্বাস ক্রুর ফরোয়ার্ড কুচো হার্নান্দেজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পান। মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজসহ সেই লড়াইয়ে আরও তিনজন থাকলেও, তারা ১০ শতাংশ ভোটও পাননি।
আরও পড়ুন: